ক্রীড়া প্রতিবেদক
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই সম্ভাবনাময় পেসার বিবেচিত হয়ে আসছেন শরিফুল ইসলাম। যার প্রমাণও দিয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর তাই অভিষেক হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। এর ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলেও সুযোগ হয় বাঁহাতি এই পেসারের। তবে ক্যান্ডিতে প্রথম টেস্ট না খেললেও দলের সঙ্গে থেকে ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণের স্বাদ ঠিকই উপভোগ করছেন এই তরুণ।
তিন পেসার নিলেও ক্যান্ডি টেস্টের একাদশে স্থান হয়নি শরিফুলের। এর পরেও মাঠের বাইরে থেকে টেস্টের ৫টি দিন অভিজাত সংস্করণের স্বপ্নময় জগতে বিচরণ করেছেন। ২২ গজে না থেকেও টেস্টর মাহাত্ম্যটা দেখেছেন খুব কাছ থেকে। হয়েছেন রোমাঞ্চিত। তাইতো দুই দিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও সেই রোমাঞ্চ এখনও আন্দোলিত করছে শরিফুলকে।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় মঙ্গলবার তরুণ এই পেসার বলেছেন, এত কাছ থেকে টেস্ট খেলা আমি কখনও দেখিনি, আমার জন্য খুবই আনন্দের ছিল এই সময়টা। টেস্ট খেলাটা আসলে মজার খেলা, প্রতি সেশনে সেশনে ধরন পাল্টায়, বার্তা পাঠানো হয়। আমার মনে হয়নি যে, ম্যাচের বাইরে আছি। সব সময় মনে হচ্ছিল আমিও ম্যাচ খেলছি।
দ্বিতীয় টেস্টেও শরিফুলের খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। একজন পেসার কমিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে হয়তো বাড়তি একজন স্পিনার নেওয়া হতে পারে। তবুও প্রস্তুত আছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসার, ‘আসলে আমি যখন খেলা শুরু করেছি, তখনই আমার চিন্তা ছিল তিন ফরম্যাটে খেলবো। এখন আমি যদি টেস্ট খেলার সুযোগ পাই, তাহলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।