জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সুস্থ ও স্বাভাবিক নয়- এমন এক শিশুর ঘোষণায় একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হতে পারে না।
একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে আইন ও বিভিন্ন নীতিমালা রয়েছে। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর জাকির হোসেন রোড মাঠে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের
দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাদ্যপণ্য বিতরণ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।জাতীয় পার্টি চেয়াম্যান বলেন, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক
রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা না বলেই তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা- এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে তা বিবেচনা করা উচিত ছিল।
নিউজ প্রকাশ ও প্রচারের আগে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলা উচিত ছিল গণমাধ্যমের। কাদের ইন্ধনে এমন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে-
এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যমের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা। তিনি বলেন, সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে।
তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো ইচ্ছেই নেই তার। দক্ষতার সঙ্গে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসাও করেছেন রওশন এরশাদ।
এ সময় জিএম কাদের বলেন, ছয় লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেট আমাদের। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশে। কিন্তু করোনায় কর্মহীন পরিবারগুলো মারাত্মক অর্থ সংকটে পড়েছে। তিনি বলেন, এক বছর আগেই আমরা বলেছিলাম লকডাউন দেওয়ার আগে মানুষের খাবার,
ওষুধ এবং জরুরি নিত্যপণ্য নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া কখনোই লকডাউন সফল হবে না। লকডাউন সফল হয়নি, করোনার সংক্রমণ বেড়েছে, বেড়েছে মৃত্যুর হারও। জিএম কাদের আরও বলেন, বাজেট তৈরি হয় দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। এ টাকার মালিক দেশের জনগণ।
তাই সেখান থেকে প্রতি মাসে দরিদ্র পরিবারপ্রতি অন্তত ১০ হাজার টাকা দিলে দেশের মানুষ বাঁচতে পারবে। লকডাউনও সফল হবে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেয়ে মানুষের জীবন বাঁচানো জরুরি।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টুর অর্থায়নে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির ব্যবস্থাপনায় কয়েক হাজার মানুষকে মাসব্যাপী খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হবে।