জন্মভূমি ডেস্ক
সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিনের এবারের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন গবেষক। এই তিনজনই নারী।
এশিয়ার মেধাবীদের অর্জনের স্বীকৃতি দিতে তাদের সম্মান জানিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ম্যাগাজিনটি এই ধরনের তালিকা প্রকাশ করে আসছে।
ষষ্ট সংস্করণের তালিকায় আছেন মডেল লাইভস্টক ইন্সটিটিউট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ড. সালমা সুলতানা, আইসিডিডিআরবির ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং বুয়েটের প্রফেসর সামিয়া সাবরিনা।
২০২০ সালের অর্জনের ভিত্তিতে তালিকাটি করা হয়েছে। তালিকায় কেবলমাত্র সেইসব বিজ্ঞানী-গবেষকদের রাখা হয়, যারা সংশ্লিষ্ট বছরে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। একই সঙ্গে কার্যকরী কোনো আবিষ্কার কিংবা ভূমিকা থাকতে হয় গবেষণা খাতে।
সালমা সুলতানা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের সম্মাননা পেয়েছেন। ২০২০ সালের ‘নরম্যান বোরলগ অ্যাওয়ার্ড ফর ফিল্ড রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন’ এর বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের এই তরুণ ভেটেরিনারিয়ানের নাম ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন।
গত বছর সংস্থাটি বলে, বাংলাদেশে হাজারো ক্ষুদ্র খামারিকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে, তাদের গবাদিপশুর জন্য চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা পৌঁছে দিতে যে ব্যতিক্রমী মডেল সালমা গড়ে তুলেছেন, তার স্বীকৃতিতেই এবারের পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়েছে।
২০১৫ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে সালমা শুরু করেন তার স্বপ্নের প্রকল্প ‘মডেল লাইভস্টক ইন্সটিটিউট ঢাকা’।
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী আইসিডিডিআরবির ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান। কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা ও সাশ্রয়ী দামে টিকা সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষা করেছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাবিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টামÐলীর সদস্য। তিনি গত বছর ইউনেস্কো থেকে নারীদের সম্মানজনক পুরস্কার অর্জন করেন।
বুয়েটের প্রফেসর সামিয়া সাবরিনা ক্যারিয়ারের শুরুতে ওডবিøউএসডি-এলসভিয়ার ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। উন্নয়নশীল দেশের জন্য ন্যানোম্যাটরিয়ালস নিয়ে গবেষণা করে গত বছর পুরস্কারটি অর্জন করেন তিনি।