২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এবার এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় সব মিলে ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর অংশ নিচ্ছে। ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এতে অংশ নিচ্ছে। ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সহায়তায় জরুরি প্রয়োজনে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল করে সহায়তার আহ্বান জানানো যাবে। আমাদের প্রত্যাশা, শিক্ষার্থীদের যে কোনো অসুবিধা মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য সারা দেশেই এ ধরনের ব্যবস্থা রাখা হবে।
এসএসসি শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষা বোর্ড থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনাগুলো মানার বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
অতীতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও ভুলত্রুটির ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো ধরনের ভুলত্রুটির সূত্রপাত হলে দ্রুত সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু পরীক্ষার্থীরা বহুদিন পর পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, সেহেতু তাদের কারও কারও মনে ভীতি থাকা অস্বাভাবিক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক প্রস্তুতি ও মনোবল এ শঙ্কা দূর করবে। আমরা মনে করি, নিজের ওপর শতভাগ বিশ্বাস রাখলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাবিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো সহজেই মোকাবিলা করতে পারবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কর্তৃপক্ষকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে হবে। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কেউ যেন কোনো ধরনের অপকর্ম করার সুযোগ না পায় সেজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসবিষয়ক গুজব ছড়ালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।