এম সাইফুল ইসলাম : নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড। নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডটির দক্ষিণ-পশ্চিমে খানজাহান আলী রোড, পূর্বে হাজী মহসীন রোড এবং উত্তরে রয়েছে যশোর রোড। এখানে খুলনা প্রেসক্লাব, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র (ম্যাটারনিটি হাসপাতাল), সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়, সেন্ট জোসেফস্ স্কুল, বিকে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন, খুলনা ফুল মার্কেট, খ্রিস্টান কবরস্থান, জলিল টাউয়ার, শঙ্খ সিনেমা হলসহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ওয়ার্ডটি খুলনার প্রাণকেন্দ্র বলা হয়ে থাকে।
উন্নয়নের কথা বলছেন বর্তমান কাউন্সিলর তবে ওয়ার্ডবাসির অভিযোগ নাগরিক সেবায় ভোগান্তির। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রয়েছে হেয়ালিপেনা যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সকলের।
থানার অধিকাংশ তালিকাভুক্ত মাদক কারবারির বাসা সামসুর রহমান রোডের শিব মন্দির থেকে করোনেশন স্কুল সড়কে। শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাদকের আখড়া হিসেবে চিহ্নিত। যার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
বর্তমান কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না জানান, এই ওয়ার্ডে স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ চলমান। এছাড়া অনেক উন্নয়ন কাজও চলমান রয়েছে। এই ওয়ার্ডে কিছু স্থানে মাদক এবং সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চলে। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
চাহিদার ভিত্তিতে এই ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক উন্নয়ন কাজ এখনও চলমান রয়েছে। আগামীতে লোকবল প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ নাগরিক সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখতে চাই। এই এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। এটাই আমার বড় পাওয়া। এলাকাবাসী তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমি সেই সেবা করে যাচ্ছি।
খুলনা মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের সাবেক ভিপি এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজুল ইসলাম টিটো জানান, একজন কাউন্সিলরের কাছে এলাকার মানুষের প্রত্যাশা অনেক। এলাকাবাসীর প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি এই ওয়ার্ডে। শহরের প্রাণকেন্দ্রের এই ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে যে সৌন্দর্য্যবর্ধন হওয়ার কথা তা হয়নি। শুধুমাত্র বর্তমান কাউন্সিলরের উদাসীনতার কারণেই তা হয়নি। নাগরিক সেবায় ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে জন্মনিবন্ধন পেতে ভোগান্তি অনেক।
জন্মনিবন্ধনে সরকারি খরচের চেয়ে এই ওয়ার্ডে বাড়তি খরচ হয়। নাগরিক সনদপত্র পেতেও ভোগান্তি রয়েছে। এছাড়া ওয়ারেশকায়েম সনদ অর্থ ছাড়া হয় না। এবার দল সিদ্ধান্ত দিয়েছে, কোনো মনোনয়ন দিবে না। এই ওয়ার্ডে শিক্ষিত মানুষের বসবাস। অনেক বেকার রয়েছে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আউট সোর্সিং ব্যবস্থা চালু করব। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করব। রাতে পুরো এলাকায় কমিউনিটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করব। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করব। বর্জ্য ব্যস্থাপনায় আধুনিকায়ন করব। স্মার্ট ওয়ার্ড গড়ে তুলব। এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ, আমাকে একটিবার সুযোগ দিলে উন্নয়নের পরিবর্তন দেখতে পাবে।