মান্না দে, ফকিরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঘন কুয়াশা, কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে মানুষের জীবন নাজেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। মাঝে মাঝে দুপুরের দিকে সূর্যের মূখ দেখা গেলেও অল্প সময়ের মধ্যে হারিয়ে যায়।
তীব্র শীতে দিনমজুর, ভ্যানচালক, কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষ গুলো চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বেড়েছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। মৎস্য ও সবজির ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ক্ষতি এড়াতে স্ব স্ব দপ্তর থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, , হাসপাতালে আউটডোর ও বর্হিবিভাগে প্রতিদিন প্রায় চারশত রোগী আসেন। এরমধ্যে শতাধিক রোগী আসেন ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে। এসব রোগী চিকিৎসককে দেখিয়ে বাড়ি চলে যান। যাদের অবস্থা একটু খারাপ হয় তারাই শুধু হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশী। হাসপাতালে বর্তমানে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ১৭জন রোগী চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়া হোসেন জানান, শীতের তীব্রতা না কমলে টমেটো, আলু ও বোরো বীজতলার ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কৃষখদের নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতি করা দাস জানান, কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার ফলে মাছের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য মৎস্য চাষীদের নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএসএম মফিদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। তবে বেশির ভাগ রোগীই বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে যান। শিশুদের ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি সর্দি, জ্বর অ্যালাজি থাকলে বা অসুস্থ হলে অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এছাড়াও গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ভীড় বেড়েছে। তবে বিক্রি কম বলে এসব দোকানদারেরা জানান। আর ক্রেতা বলছেন তীব্র শীত দেখে গরম কাপড়ের দাম বেশী চাওয়ায় তারা কিনতে পারছেন না।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা নেসতু বলেন, এই শীত নিবারনের জন্য তারা ৩হাজার কম্বল পেয়েছেন। যা বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা, এতিমখানা, হাসপাতালের রোগী, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের কাছে এসব কম্বল পৌছে দেয়া হচ্ছে।