বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ‘রহস্যময়’ একটি ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। আলাদা বৈশিষ্টের ভিন্ন রকম ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার ঘটনা দেশে এটাই প্রথম। অজানা ধরনটি করোনার নতুন সংস্করণ কিনা বিজ্ঞানীদের মনে সেই প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানীরা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের এই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছেন। এটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিশ্চিত না হলেও সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশের করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রসার ঘটাতে সক্ষম।
করোনার নতুন ভ্যাটিয়েন্ট জন্মের পরিবেশ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজী বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু (এমফিল, এমপিএইচ) বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস নিজেকে পরিবর্তন করতে অনুকূল পরিবেশের বাইরে নয়। করোনা প্রতিনিয়তই নিজের রূপ পরিবর্তন করছে। আরো শক্তিশালী হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ না হলে এটি ঘটবেই।’
গবেষণার পরিধি বাড়ালে করোনার বিষয়ে আরো অনেক নানা রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেও মনে করেন এই সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশে করোনার উৎপত্তি স্থল চীনের উহান ভ্যারিয়েন্টসহ বেশকয়েকটি দেশের ধরনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এরই মধ্য বৃহস্পতিবার আইসিডিডিআরবি জানায়, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার ৬০ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করে একজনের শরীরে করোনার রহস্যময় ভ্যাটিয়েন্টের উপস্থিতি পায় তাদের গবেষকরা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোন তথ্য দেয়নি গবেষণা সংস্থাটি। এ নিয়ে এখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনাও করেনি তারা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের সঙ্গে কোন যোগাযোগ হয়নি।
আইসিডিডিআরবি সূত্র জানায়, রাজধানীতে বিভিন্ন দেশের ভ্যাটিয়েন্ট ভিত্তিক আক্রান্ত হার নির্ণয় করতে গিয়ে এই ভিন্ন রকমের ধরণ শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। জরুরি ভিত্তিতে ওই গবেষণা ফল প্রকাশে নতুন ধরনের ভ্যাটিয়েন্টটিকে ‘রহস্যময়’ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। তবে এখন এটি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালাচ্ছেন সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা।