খুলনাঞ্চলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এর হার ৩৯% করোনা ভাইরাসের বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে একই সাথে বেড সংকট, অক্সিজেন সংকট, চিকিৎসক ও জনবলের অভাব তীব্র আকার ধারন করেছে। এ-ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ এবং অব্যবস্থাপনা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান খুলনা বিএমএ ।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থায়ী অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, প্রয়োজনীয় বেড ও আই সি ইউ বেড স্থাপন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল নেই।
করোনার শুরু থেকেই মহানগর, জেলা ও উপজেলায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আই সি ইউ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছিল নিরব।
এ নিয়ে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় খুলনা বিএমএ। বিবৃতিতে বলা হয়, যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ সকল বিষয়ে নজর না দিয়ে ‘‘সংক্রমণ আইন-২০১৮’’ উপেক্ষা করে জেলা উপজেলায় অনাভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন করে বারবার এই ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার পরেও সীমান্তে সংক্রমণ বহনকারীদের আটকাতে উদাসীনতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে। যার চূড়ান্ত ভোগান্তি এখন খুলনা সহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ এবং এই অঞ্চলের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে পড়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে সারা দেশে ১৬০ জনের উপরে চিকিৎসককে জীবন দিতে হয়েছে।
খুলনাসহ সীমান্তবর্তী অতিসংক্রমিত অঞ্চলের মানুষদের এই সংকট থেকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার আর একটি করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট গঠন করে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করা, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটসহ খুলনা বিভাগের সকল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থায়ী কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগসহ করোনা চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ উপর্যুক্ত ব্যক্তিরদের দিয়ে জেলা ও উপজেলায় করোনা প্রতিরোধ ও মনিটরিং সেল গঠন, প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত থেকে কোন পথেয় যেন কেউ প্রবেশ করতে না পারে তাঁর ব্যবস্থা করা এবং প্রবেশ করলে বাধ্যতা মূলক পনের (১৫) দিন সঙ্গ নিরোধ করার ব্যবস্থা করা, সংক্রমণ আইন-২০১৮ যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা, সংক্রমিত ব্যক্তিরা পরীক্ষা করার জন্য রাস্তায় যানবহনে যাওয়া ও আসার সময় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা করার যে পদ্ধতি চালু ছিল তা পুনরায় চালু করা, বিভাগীয় শহর খুলনায় আরও কমপক্ষে দুইটি আরটি পিসি আর ল্যাব স্থাপন করা।
করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতাল নিয়ে নানা অভিযোগ : উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিএমএ খুলনার
Leave a comment