কাঁঠালিয়া প্রতিনিধিঃ কাঁঠালিয়া এলজিইডি অফিসের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর ঘুষ বানিজ্য করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ সাকিলের বিরুদ্ধে-ঠিকাদারি ব্যবসা- মা বিজনেস দোকান ব্যবসা দুর্নীতির চরমে। অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কাজ হাতিয়ে নেওয়া, একজন
অফিসের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর সাকিল -ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার কারণে এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে তার নামই আসছে কাঠালিয়া এলজিইডি অফিসে” স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের কাঠালিয়া উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগ দেন মোঃ সাকিল। এরপর শুরু হয় দুর্নীতির নতুন অধ্যায়। যোগ দেয়ার পরে ধীরে ধীরে তিনি সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন স্থানীয় ঠিকাদার ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে”
একে একে তাদের অনেকেই আটকে যান তার প্রতারণার ফাঁদে। সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ, কাঠালিয়া উপজেলায় কোনো ঠিকাদার কাজ বিক্রি করতে চাইলে সেটি সাকিলকে দেয়া এক প্রকার অলিখিত বিধান। ঠিকাদারি ব্যবসার কারণে তিনি সাধারণ ঠিকাদারদের প্রতিপক্ষ করছেন। কোনো কোনো সময় যদি তিনি কাজ না পান, তখনই তার রোষানলে পড়েন কাজ পাওয়া ঠিকাদার। ফলে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অনিয়ম দুনীর্তীর অভিযোগ। দায়িত্ব পালন কালে তিনি জড়িয়ে পড়েন ঠিকাদারি ব্যবসায় এমন অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের ও ঠিকাদারদের।বর্তমানেও অন্য ঠিকাদারের নাম নিয়ে সাকিল উপজেলায় বেশ কয়েকটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে নিজে ও তার সিন্ডিকেটের লোকজনকে দিয়ে নামমাত্র কাজ করে অধিকাংশ টাকা আত্মসাত করাও অভিযোগ রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা সহ তার সহযোগীদের এ অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্য এবং দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত পূর্বক কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় ঠিকাদাররা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এবারও তিনি বিভিন্নভাবে অযৌক্তিক চাপ সৃষ্টি করে অফিসের শৃংখলা ভঙ্গ করছেন। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মহল হতে তদবির করে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি করছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা পরিপন্থী।সাকিল টেন্ডার এর কাজ পাইয়ে দেওয়া বা” কোট” দেওয়া- এবং টেন্ডারের এমাউন্ট বলে দেওয়া কাজ কিনার জন্য লাখে ৮% দিবেন শাকিলের ভাষণ”
আমি কাজ বিক্রি করতে না চাইলে লাখে ৯% দিবেন বলে কাজ নিতে উঠেপরে লেগেযান। তিনি বলেন এরকম অনেক কাজ কিনে দিচ্ছে ঠিকাদারদের কাছ থেকে। তবে কাজ গুলো কার জন্য কিনে নেন তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে কাঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস -এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন এবং সাকিলের ঠিকাদারি ব্যবসা ও নানান অনিয়মের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সাকিলের দুনীতি বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোঃ শাহাদত হোসেন উপ- সহকারী প্রকৌশলী -ব’লেন সাকিলের দুনীতি বিষয়ে আমার জানা নাই ” আমি নামাজে জাবো”এ ব্যাপারে কাঠালিয়া উপজেলার ঠিকাদার’রা অনিয়ম দুর্নীতি যদি করে থাকেন সেটা তার উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়। এসব অনিয়মরোধ এবং অধিদফতরের কাজে শৃংখলা আনতে অবিলম্বে সাকিলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে দাবী করেন স্থানীয় লোকজনসহ ঠিকাদার গন। এ দুনীতি বিষয়ে সাকিলের সাথে কথা হলে বলেন দৈনিক বাংলাদেশ বানী কাঠালিয়া প্রতিনিধি সাথে মনমালিন্য হয়েছে, সে নিজেও ঠিকাদারি করে সেই জন্য”
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান নিসাত তার নিজ ব্যক্তিগত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর এলজিডি অফিসের সাকিল আঙ্গুল খুলে কলা গাছ হয়েছে”।
কাঁঠালিয়া এলজিইডি অফিসের কম্পিউটার অপারেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
Leave a comment