
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : ডক্টর শেখ আব্দুর রশিদ তিনি জন্মগ্রহণ করেন সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ধুলবাড়িয়া ইউনিয়নের খরি তলা গ্রামে তার মাধ্যমিকের লেখাপড়ায় জীবন কাটে শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাপ্ত তথ্য জানা যায় ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের খড়ি তালা থেকে প্রতিদিন মাইটো রাস্তায় হেঁটে নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় লেখাপড়া শিখে তিনি আজ বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের সচিব তার শিশুকাল শৈশবকাল কিশোর কাল চলেছেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগরের সাধারণ আর ১০ জন শিক্ষার্থীর মত তবে তার শিক্ষা জীবনকালে গ্রামীন অবকাঠামোর এত উন্নয়ন না থাকায় মাটির রাস্তায় বাইসাইকেল অথবা পায়ে হেঁটে জীবন গড়েছে মাধ্যমিক শিক্ষাজীবনে মাধ্যমিক লেখাপড়া জীবনে ডক্টর শেখ আব্দুর রশিদের ছিল লেখাপড়ার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদকে চুক্তিতে দুই বছরের জন্য ড. শেখ আব্দুর রশিদকে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ অক্টোবর। ড. শেখ আব্দুর রশীদ তার স্থলাভিষিক্ত হবেন।তিনি গত রোববার রাতে সরকারি সফরে ফ্রান্স গেছেন। নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আগামী ১৪ অক্টোবর দেশে ফিরে যোগাদান করবেন বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী ড. শেখ আব্দুর রশিদকে অন্য যে কোন পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ১৪ অক্টোবর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্হাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ড. শেখ আব্দুর রশীদ গত ১৮ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে যোগ দেন। অবসরে থাকা এই কর্মকর্তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পদায়ন করা হয়েছিল। সিভিল সার্ভিল (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের এ কর্মকর্তা মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করেছেন। বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার’, ফেনী জেলার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক’ এবং টাঙ্গাইল জেলার ‘জেলা প্রশাসক’ হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমী ও বাংলোদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অনুষদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের দি হেগ শহরে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। ইতোপূর্বে তিনি এসএসসি ও এইচএসসির উভয় পরীক্ষার মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৭ সালের ৫ মে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তাঁর সহধর্মিণী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর নেন। তাদের সন্তানরা দেশে ও বিদেশে অধ্যয়নরত।
গত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নিয়েই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে ওএসডি করে। পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাঁকে চার বছর পর জানানো হয়, যখন অবসরে যান তিনি। অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে থেকে অবসরে যাওয়া এই কর্মকর্তা বিসিএস ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি তাঁর ব্যাচে ফার্স্ট হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে একই কায়দায় তাঁকেও ওএসডি করা হয়। তখন তিনি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।