ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেছেন, আমাদের দেশে সবকিছুর উর্ধ্বে হল কৃষক ও কৃষি কাজ। তারা হলেন খাদ্য উৎপাদনকারী, তাদের পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসল খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি। এটা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। কোন ভাবেই তাদেরকে খাটো করে দেখা যাবে না। এক সময়ে ধনী-গরীবের বিভেদ ছিল, ওই বিভেদে গরীব তথা এই কৃষকরা অবহেলিত ও বঞ্চনার শিকার হত। আজও তা সমাজ থেকে একেবারেই নির্মুল হয়নি। কিন্তু আমাদের অতীতের সেই কালো প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবার আগে তাদেরকে দিতে হবে মর্যাদা ও সম্মান। যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। আজ তা বাস্তবে পরিনত হতে যাচ্ছে। আর সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইউরিয়াসহ সকল প্রকার সারে ভুর্তকি ব্যবস্থা, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কমিশন প্রদান, ব্যাপক প্রনোদনা ব্যবস্থা। মঙ্গলবার দুপুরে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের গাবতলা নিমেরশিষা বিলে চলতি বোরো মৌসুমে সমলয়ভাবে ধান চাষাবাদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান ও ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া (বিপিএম)। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন। এছাড়া আরও বক্তৃতা করেন ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য ও কৃষক সুশান্ত মল্লিক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা এডজষ্ট্রেট অপ্রতীম কুমার চক্রবর্তী, আফরোজ শাহীন খসরু, মুহা. রবিউল ইসলাম, মহাদেব চন্দ্র সানা, এস এম মিজান মাহমুদ, দিপংকর চন্দ্র বালা, ওয়ালিদ হোসেন, পারনজয় মন্ডল, তুষার কান্তি বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বিলের ৭৭জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে আধুনিক পদ্ধতি সমলয়ভাবে বোরো চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে।