জন্মভূমি রিপোর্ট : “পুলিশ জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে শনিবার সকালে কেএমপি’র বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস হলে মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। শনিবার সকাল ৯টায় নগরীর বয়রা বাজার মোড় হতে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেএমপি’র বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে এসে শেষ হয়। এরপরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে “কমিউনিটি পুলিশিং ডে”র উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং সভাপতিত্ব করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং ভগবত গীতা পাঠ’র মধ্য দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভার কার্যক্রম শুরু হয়। সভার শুরুতে অনুষ্ঠানের সভাপতি কেএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে পুলিশ সদরদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক ডিআইজি আপরেশনের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশিং। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পেশাদার, স্মার্ট এবং সক্ষম একটি বাহিনী। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ শান্তিকামী মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল, জীবন জীবিকা পরিচালনা করায় সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে শান্তি বিনষ্টকারী ও নাশকতা সৃষ্টিকারী কোন অপশক্তিকে বিন্দুমাত্র কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
সবশেষে তিনি কেএমপিকে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, ইভটিজিং মুক্ত, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত যানজট মুক্ত এবং ফৌজদারি অপরাধ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যাশা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য সমাপ্ত করেন। আলোচনা সভার শেষ দিকে কেএমপিতে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে অনবদ্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার এবং কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের সম্মাননা স্মারক ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে। এসময় তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকা কর্তৃক চারজন এবং কেএমপি পুলিশ কমিশনারের পক্ষ হতে চারজন কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার ও কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য’কে বিশেষ সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তবিবুর রহমান,খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী, খুলনা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সরদার মাহবুবার রহমান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলাম, খুলনা মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ডাঃ এ কে এম কামরুল ইসলাম, খুলনা মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, খুলনার সাধারণ সম্পাদক শেখ সৈয়দ আলী; সংরক্ষিত কাউন্সিলর রোজি ইসলাম নদী; ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম খুরশিদ আহম্মেদ টোনা প্রমুখ।