আশরাফুজ্জামান, কেশবপুর : কেশবপুরে কৃষক মোমিনের ফলন্ত মিষ্টি কুমড়া গাছ কর্তন করে আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে দুর্বৃত্তীরা। কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শ্রীফলা গ্রামের দিনমজুর কৃষক আব্দুল মোমিন এই বিষয়ে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ করে। তার আবেদন সূত্রে জানা যায় মোঃ আব্দুল মোমিন খান (৪১), পিতা- মৃত রজব আলী খান, মাতা- মৃত রাবেয়া বেগম, গ্রাম- শ্রীফলা (খান পাড়া), ডাকঘর- মজিদপুর, ৩নং মজিদপুর ইউনিয়ন, থানা- কেশবপুর, জেলা- যশোর থানায় হাজির হয়ে বিবাদী ১। মোঃ মুজিবর রহমান খান (৬৫), ২। মোঃ তবিবুর রহমান খান (৪৫), ৩। মোঃ কালাম হোসেন খান (৪৮), সর্ব পিতা- মৃত মোবারেক আলী খান, গ্রাম- শ্রীফলা (খান পাড়া), ডাকঘর- মজিদপুর, ৩নং মজিদপুর ইউনিয়ন, থানা- কেশবপুর, জেলা- যশোরদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করে উক্ত বিবাদীরা বিভিন্ন সময় বাদীর ফসলী জমিতে রোপনকৃত কলা গাছের পাতা, কলার খান্দিসহ অন্যান্য ফসল কেটে নিয়ে যায় বিষয়টি জানতে পেরে বিবাদীদের আমার ফসলী জমি থেকে কলা গাছের পাতা, কলার খান্দিসহ অন্যান্য ফসল কাটতে নিষেধ করি। তার কারণে উক্ত বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ইং ২৭/০৭/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ০৩:০০ ঘটিকার সময় কেশবপুর থানাধীন শ্রীফলা মৌজায় দীঘির পাড়ের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ০৬ শতক জমিতে প্রবেশ করে জমিতে রোপনকৃত ৩২টি মান্দার ফলন্ত মিষ্টি কুমড়া গাছ কর্তন করে আনুমানিক ৪০,০০০/= (চল্লিশ হাজার) টাকার মত ক্ষতিসাধন করে। একপর্যায়ে বিবাদীগণ আমাকে মারপিট করার জন্য আমার বাড়িতে তিন বার আসে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়। বিষয়টি প্রত্যক্ষ ১) আমিনুর রহমান খান (৪৫), পিতা- মৃত রজব আলী খান, ২) মোছাঃ জোসনা বেগম (৪৩), স্বামী- বিল্লাল হোসেন খান, ৩) খোদেজা বেগম (৬০), স্বামী- মৃত আনিসুর রহমান খান, সর্ব গ্রাম- শ্রীফলা (খান পাড়া), থানা- কেশবপুর, জেলা- যশোরগণসহ আরো অনেকে উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে জানে, শোনে ও দেখে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে বিবাদীদের সাথে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে।
এবিষয়ে তদন্ত অফিসার এস আই তাপসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।