আশরাফুজ্জামান, কেশবপুর : যশোর জেলার কেশবপুরে বন্ধু কল্যাণ সমিতির পরিচালক আসাদুজ্জামান খান আসলাম ও তিতাস দে কর্তৃক গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। অর্থ ফেরত পাবার জন্য ভুক্তভোগী গ্রাহকরা কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় কেশবপুরের মধ্যকুলের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান খান আসলাম ও সাহাপাড়ার বাসিন্দা তিতাস দে ২০০৮ সালে বন্ধু কল্যাণ সমিতি চালু করে।এই সমিতিতে পাঁচ বছর মেয়াদি ডিপিএস চালু করে। গ্রাহকরা সমিতির নিয়ম কানুন শুনে ২০১৭ সালে বন্ধু কল্যাণ সমিতির সদস্য হন এবং নিয়মিত টাকা জমা দেন ও ২০২২ সালে তাদের ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বন্ধু কল্যাণ সমিতির অফিসে টাকা পাইবার জন্য অনেকেই বই জমা দেন।কিন্তু সমিতির পরিচালক তাদের পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তালবাহনা করতে থাকে। এক পর্যায়ে সমিতির পরিচালক আসাদুজ্জামান খান আসলাম ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত দিবে বলে ভুক্তভোগী ও স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে ১৫০ টাকার নন – জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার করেন। তারপরও টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করতে থাকে। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে আবেদন করেছে (১)মোঃ আমিনুর ইসলাম -৬,০০,০০০(ছয় লক্ষ টাকা)(২)দীপঙ্কর নন্দন -২,০০,০০০(দুই লক্ষ টাকা) (৩)গৌতম চৌধুরী -৫,০০,০০০(পাঁচ লক্ষ টাকা) (৪)সমীর চৌধুরী -২,০০,০০০( দুই লক্ষ টাকা) (৫)আলমগীর সিদ্দিক -১,০০,০০০(এক লক্ষ টাকা) (৬)শেখর সাহা -২,০০,০০০(দুই লক্ষ টাকা) (৭)প্রশান্ত দে -৬,০০,০০০( ছয় লক্ষ টাকা) (৮)মাসুদুজ্জামান -২,০০,০০০(দুই লক্ষ টাকা) (৯)রাজিব বিশ্বাস -২,০০,০০০(দুই লক্ষ টাকা) (১০)মুরাদ হোসেন -২,০০,০০০(দুই লক্ষ টাকা) (১১)গোপাল সেন -২,০০,০০০(দুই লক্ষ টাকা) (১২)আব্দুল হালিম -১,০০,০০০(এক লক্ষ টাকা) (১৩)আলী হাসান -১,০০,০০০(এক লক্ষ টাকা) (১৪)দিপ্ত সরকার -২,০০,০০০(দুই লক্ষ টাকা) (১৫)পলাশ নন্দন-২,০০,০০০(দুই লক্ষ টাকা)(১৬)মোঃ আবুল কাশেম -২৬,০০০(ছাব্বিশ হাজার)(১৭)আব্দুল কুদ্দুস -১,০০,০০০(এক লক্ষ টাকা)(১৮)মতিয়ার রহমান -১,০০,০০০(এক লক্ষ টাকা)(১৯)সুবাস সেন -১,০০,০০০(এক লক্ষ টাকা)(২০)শংকর ব্যানার্জি -৬০,০০০ ( ষাট হাজার টাকা) (২১)তাপস পাল -৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার টাকা) মোট ৪৩, ৫০,০০০/= ( তিতাল্লিশ লক্ষ্য পঞ্চাস হাজার ) টাকার। এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কেশবপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফুজ্জামান কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হাওলাত নিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে। এরপর আশরাফুজ্জামান ২ টা মামলা করেছে যার নাম্বার এস সি = ৩৭৩, আরেকটি মামলা নাম্বার এস সি =৭৫৪। এ ছাড়াও আরো অনেকেই টাকা পাবে। এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান আসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।