কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুরে স্ত্রী হত্যা মামলা দায়েরের মাত্র ২ বছর ৩ মাস ২৩ দিনের মাথায় বিজ্ঞ আদালত গৃহবধূ মেরিনা হত্যা মামলার রায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ দেওয়ায় গড়ভাঙ্গা এলাকায় খুশির বন্যা বয়েছে। গড়ভাঙ্গা বাজারে মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। হত্যা মামলার রায়ে আদালত ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় খুশি হয়েছে নিহত মেরিনার মা-বাবাসহ স্বজনরা।
কেশবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোস্তফা দপ্তীর পুত্র আনিসুর রহমান রিপন ওপরে সাগর প্রেমের সম্পর্ক গড়েতুলে গড়ভাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের কলেজ পড়ুয়া কন্যা মেরিনা খাতুনকে ২০১৯ সালে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী রিপন ছিলো মাদক সেবী। সে নেশাগ্রস্ত হলে প্রায় স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। তাছাড়া নেশার টাকা যোগাতে শশুর বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবীতে ২০২২ সালে ৩ মে তারিখে ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে স্ত্রীকে নীর্মমভাবে নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করলে সে গুরুতর আহত হয়ে খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১১ মে তার মৃত্যু হয়। এর পর থেকে রিপন পালিয়ে যায়। মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তার পিতা আবুল কালাম আজাদ রিপন ও তার পিতা-মাতাসহ ৫ জনকে আসামি করে ১৩ মে তারিখে থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুব দ্রুত ১৪ মে আদালতে আসামীকে পলাতক দেখিয়ে মামলার চার্জশিট জমা দেন। স্ত্রীকে হত্যার পরে রিপন দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো। এলাকায় মেরিনা হত্যাকারী স্বামীকে গ্রেফতারের দাবীতে গড়ভাঙ্গা বাজারে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় মানববন্ধনের মত কর্মসূচী পালন করে।
গত রোববার যশোরের বিজ্ঞ একটি আদালত গৃহবধূ মেরিনা হত্যা মামলার রায়ে গৃহবধূ মেরিনা হত্যা মামলায় আসামি স্বামী আনিসুর রহমান রিপন ওপরে সাগরকে মৃত্যুদন্ড দেন। আদালত গৃহবধূকে হত্যা মামলার আসামী ফাঁসির আদেশে দেওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় খুশির বন্যা বয়তে থাকে। গড়ভাঙ্গা বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। তার পিতা-মাতা আদালতের রায় পেয়ে তারা খুব খুশি হয়ে বলেন আমরা নেয্য বিচার পেয়েছি। পাঁচবাকাবর্শি গ্রামের (অবঃ) সরকারি কর্মকর্তা বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল করিম সরদার দৈনিক স্পন্দনকে বলেন মেরিনা হত্যা মামলার রায়ে আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছি। এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেছেন। গড়ভাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী ঈমান নগর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলে আদালত খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার রায় দিয়ে তাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি। এলাকাবাসী খুব দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবী জানিয়েছেন। মেরিনার নানা ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন দফাদার বলেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে হত্যা মামলার রায়ে আসামীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া আমরা খুব খুশি হয়েছি। তিনি খুব দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবী জানান।
কেশবপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ

Leave a comment