# সমাপ্ত হয়নি নির্ধারিত সময়ে কাজ
#মেয়রের কঠোর হুশিয়ারি
এম সাইফুল ইসলাম
দীর্ঘদিন থেকে শুরু হলেও নগরীর ড্রেনের কাজ চলছে ধীর গতিতে। চলতি মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময়মতো শেষ না হওয়ায় শংকা করছেন নগরবাসী। ফলে চলতি বর্ষায় ভোগান্তিতে পড়বে তারা।
নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৪টি ওয়ার্ডে ১৩টি ড্রেন নির্মাণাধীন। কিন্তু অধিকাংশ কাজ মাঝপথে এসে ধীরগতিতে চলছে। ফলে জলাবদ্ধতা সমস্যা বেড়ে দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন সংশ্নিষ্টরা।
কেসিসি সুত্রে জানা যায়, খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু পরামর্শক নিয়োগ ও নকশা তৈরি, দরপত্র প্রক্রিয়ার নানা জটিলতার পর প্রথম ধাপে ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেওয়া শুরু হয় ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। পরের মাসেই তারা কাজ শুরু করেন।
নগরীর আহসান আহমেদ সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয় গত বছরের ২৪ নভেম্বর। চুক্তি অনুযায়ী ২৬ জুনের মধ্যে ঠিকাদারের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
এক পাশে ড্রেন নির্মাণ হলেও অন্যপাশের কাজ অর্ধেকও শেষ হয়নি। এই সড়কের অনেক কাজ এখনও বাকি।
সাধারণ সময়ে অল্প বৃষ্টিতেই এই সড়কে জলাবদ্ধতার বৃষ্টি হয়। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এ সড়কে এবারও সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় আবদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয়রা।
নগরীর ট্যাংক রোডে কভার স্লাবসহ ড্রেন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয় গত বছরের ২৪ নভেম্বর। চলতি মাসের ২৮ জুন এর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অনেক কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
শামসুর রহমান সড়কে দেখা গেছে, এর দুই পাশে ড্রেনের কাজ শেষ হলেও সড়ক মেরামত কাজ শুরু হয়নি। সড়ক থেকে ড্রেন এত উঁচু যে পানির চাপ বাড়লে ড্রেনের পানিই সড়কে চলে আসবে। সামান্য বৃষ্টিতে এ সড়কের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ অনেকটা নিশ্চিত।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, বর্ষার আগেই নির্মাণাধীন ড্রেনের প্রতিবন্ধকতা তুলে ফেলতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হতে সময় লাগে। তবে কাজ শেষ হলে নগরীতে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
এদিকে বর্ষা মৌসুমের আগে মহানগরী এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।
এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন মেয়র। সম্প্রতি নগর ভবনে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের সঙ্গে সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে ড্রেন ও সড়ক নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়বে। তারপরও শেষ হয়নি প্রকল্প।
খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী এজাজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের চলমান রয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি।
কেসিসির জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় শঙ্কায় নগরবাসী
Leave a comment