জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর প্রয়াত শেখ কালাম হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর রায়ের মহলের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা নগদ ৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্নালংকারসহ প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, মুখোশধারী ১৪-১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে নিচতলা ও পরে দ্বিতীয় তলার কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় কাউন্সিলরের দুই ছেলেকে গামছা দিয়ে হাত পিঠমোড়া বেঁধে একটি ঘরে আটকে রাখে এবং চিৎকার করলে সবাইকে জবাই করে হত্যা করা হবে বলে ডাকাতদল হুমকি দেয়। এরপর কাউন্সিলরের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি ঘরের আলমারি তছনছ ও লকার ভেঙে নগদ দশ লাখ টাকা ও আনুমানিক ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে বাড়ির পেছনের দ্বিতীয় তলার বারান্দার গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়।
কাউন্সিলরের ছোট ছেলে শেখ সাহিল হোসেন বলেন, আমি রাত দেড়টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লে পৌনে চারটার শব্দ শুনতে পেয়ে পাশের বাড়ির বড়ভাইকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া মাত্রই আমার মা আমাকে দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলামাত্রই মুখে কালো কাপড় বাঁধা সশস্ত্র ডাকাত দল গরু জবাই করা লম্বা ছুরি দেখিয়ে বলে চিৎকার করলে শেষ। তারা আমার ঘরে ঢুকে আলমারি, বিছানাপত্র তছনছ এবং লকারগুলো ভাঙে মূল্যবান সব কিছু নিয়ে যায়। তারা আমাকে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর আমি কিছু জানি না।
প্রয়াত শেখ কালাম হোসেনের স্ত্রী হেলেনা কামাল বলেন, ডাকাতরা অস্ত্রেরমূখে জিম্মি করে আমার আলমীরা এবং বড় ছেলে সেতুর আলমীরা থেকে ৫ লাখ টাকা নগদ এবং প্রায় ২০ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে যায়।
প্রয়াত শেখ কালাম হোসেনের বড় ছেলে শেখ আশরাফুল ইসলাম সেতু জানান, মুখোশধারী ডাকাত দলে ১০-১৫ জন ছিলো। তারা আমাদের দুই ভাইকে বেধেঁ ফেলে। এরপর আম্মাকে নিয়ে দুটি রুমের আলমীরা খুলে মালামাল লুট করে। তবে তারা আমাদের গায়ে হাত দেয়নি। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এছাড়া ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। এটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি মামলার প্রক্রিয়াও চলছে।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা দাবি করেছে, ডাকাত দল নগদ ৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালে উক্ত বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
কেসিসির সাবেক কাউন্সিলরের বাড়িতে ডাকাতি: ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট
![](https://dainikjanmobhumi.com/wp-content/uploads/2024/02/22-02-2024-52-330x220.jpg)
Leave a comment