জন্মভূমি ডেস্ক : কোমল পানীয় কম-বেশি সবারই প্রিয়। রসনাবিলাসের পর অনেকেই কোমল পানীয়তে চুমুক দেন। কেউবা মনে করে গ্যাস-অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে এই পানীয় গেলে কিছুটা উপশম হয়। আকোল্ড ড্রিংকস হল একটি কার্বোনেটেড বেভারেজ। তাই গ্যাস, অ্যাসিডিটির পর এই পানীয়ে চুমুক দিলে সাময়িকভাবে কিছুটা স্বস্তি মেলে। কিন্তু সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলে না। উল্টো গ্যাস, অ্যাসিডিটির পর নিয়মিত কোল্ড ড্রিংকস খেলে পেটের স্বাস্থ্যের হাল আরও বিগড়ে যেতে পারে। তাই গ্যাস, অ্যাসিডিটিজনিত সমস্যায় পড়ার পর ভুলেও কোল্ড ড্রিংকস খাবেন না।
বিপদের অপর নাম ফসফোরিক অ্যাসিড
কোল্ড ড্রিংকসে যাতে ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া হামলা চালাতে না পারে, সেই কারণে তাতে কিছুটা পরিমাণে ফসফোরিক অ্যাসিড মেশানো হয়। আর এই অ্যাসিড কিন্তু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, এসব পানীয়ে কিছুটা পরিমাণে কার্বোনিক অ্যাসিডও মেশানো থাকে। আর এই অ্যাসিড কিন্তু টয়লেট ক্লিনারেও মজুত থাকে। তাই বুঝতেই পারছেন, নিয়মিত কোল্ড ড্রিংকস খেলে ঠিক কতটা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এবার থেকে আর রোজ রোজ এই পানীয় খাওয়ার ভুল করবেন না।
আরও সমস্যা রয়েছে
আমাদের অতি প্রিয় কোল্ড ড্রিংকস হল চিনির ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু সুগার বাড়ানোর কাজে কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই তো ডায়াবিটিস রোগীদের কোল্ড ড্রিংকস খেতে বারণ করা হয়। শুধু তাই নয়, এই পানীয়ের ক্যালোরি ভ্যালুও অনেকটাই বেশি। ফলে নিয়মিত কোল্ড ড্রিংকস খেলে মেদের বহর বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে চাইলে ভুলেও কোল্ড ড্রিংকস খাবেন না। আশা করছি, তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
রোজ রোজ গ্যাস, অ্যাসিডিটি হলে কিন্তু সমস্যাকে বেশিদিন ফেলে রাখবেন না। কারণ এইসব সমস্যার পিছনে কোনও বড়সড় রোগ লুকিয়ে থাকলেও থাকতে পারে। তাই এসব সমস্যা নিয়মিত জ্বালালে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার পরামর্শ মতো ওষুধ খান। এমনকি ডায়েটে আনুন বদল। আশা করছি, এই কাজটা সেরে ফেললেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।