জন্মভূমি রিপোর্ট : বৈশাখের শুরুতে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাগেরহাট। সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়া এই তীব্র গরমে প্রভাব পড়তে পারে বাগেরহাটে সোনাখ্যাত চিংড়ি চাষের ওপর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১টায় জেলার সদরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুদিন আগে জেলার মোংলায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। মোংলার মাছের ঘের মালিক আব্দুল আলীম বলেন, আগামী মৌসুমের জন্য আমরা মাছের ঘের প্রস্তুত করছি। বৈশাখের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে মাছের পোনা ঘেরে ছাড়ি। এই তীব্র গরমে ঘেরের মাছে ক্ষতি হতে পারে। রামপালের ঘের ব্যবসায়ী সাইদ বলেন, আমাদের এলাকায় দুই-চারজনের ঘেরে মাছের পোনা ছাড়া আছে। যাদের ঘেরে মাছ রয়েছে, এই গরমে তারা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। জেলা মৎস কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা হলে চিংড়ি মরতে শুরু করে। এ ছাড়া যেসব ঘেরের গভীরতা তিন ফুটের কম, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় সেসব ঘেরের সব মাছ মারা যাবে। তাপমাত্রা যত বাড়বে তত বেশি মৎস স¤পদের ওপর প্রভাব পড়বে। এদিকে ঘের ব্যবসায়ীরা তাদের ঘেরে মাছ ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করছে। কিছু ঘেরে মাছের পোনা ছাড়তে পারে। তবে অধিকাংশ ঘেরে মাছের পোনা ছাড়েনি। তাই বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম বলে তিনি জানান। মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অফিসার ইনচার্জ মো. হারুন আর রশিদ বলেন, বাগেরহাটের মোংলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোংলায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর দুদিন আগে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তিনি আরও বলেন, গত ৩-৪ দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কালবৈশাখী হলে এ তাপমাত্রা কমে যাবে। তীব্র তাপদাহে অস্বাভাবিক আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ।