জন্মভূমি রিপোর্ট
জেলার কয়রা উপজেলাধীন দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম গাজী ও ইউপি উদ্যোক্তা নাজমুল ইসলামসহ ৪জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন কারাগারে প্রেরণের এ আদেশ দেন। দীর্ঘ স্থবিরতা কাটিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর পুলিশ হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়লসহ ৩৪জনকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই।
কারাগারে প্রেরণকৃত আসামীরা হল সিরাজুল ইসলাম গাজী, নাজমুল ইসলাম, তাছের আলী মোড়ল ও দাদরিজ শেখ। মামলার অন্য আসামীরা পলাতক ও জামিনে রয়েছে।
সূত্রমতে, আসামী ধরতে যেয়ে ২০১৩ সালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল মফিকুল ইসলাম। খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশির গোলখালী গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় স্থানীয় আংটিহারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোঃ মমিনুর রহমান বাদী হয়ে কয়রা থানায় মামলা করেন (যার নং-০৭(৩)১৩। কয়েক দফায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর ২০১৫ সালের ২১ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক সরদার মোঃ হায়াত আলী। এরপর দীর্ঘদিন মামলাটির কার্যক্রম স্থবির ছিল। চার্জশিটভুক্ত আসামী আছের আলী মোড়ল সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এরমধ্যে পলাতক আঃ গনি সরদার, আনারুল, সিরাজুল, আয়শা, রেজাউল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, মজিদ গাজীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন, ২০১৩ সালের ৯ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়রা থানার অপর একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামী গনি সরদারের বাড়ীতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আসামীরা বন্দুক দিয়ে গুলি করলে কনস্টেবল মফিজুল ইসলামের বাম পায়ের হাটুর পিছনে বিদ্ধ হয়, এতে মারাত্মক জখম হন তিনি। এসময়ে রাত সাড়ে ১২টা বাজে। চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে নেবার পথে মারা যান কনস্টেবল মফিজুল ইসলাম। ২০১৪ সালের ১০ জুলাই পুলিশ হেডকোয়াটার্স মনিটরিং সেলের ১৭৭তম এবং ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল ১৭৯তম সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে প্রত্যেক আসামীর অপরাধ শনাক্ত করে অভিযোগপত্র সুনির্দিষ্ট চার্জ এনে অভিযোগপত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কয়রায় পুলিশ হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাসহ ৪জন কারাগারে
Leave a comment