জন্মভূমি রিপোর্ট : ইয়াবাসহ পুলিশের কাছে আবারও আটক হলো কিশোর গ্যাং থেকে ছাত্রলীগ বনে যাওয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী খালিশপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ হাওলাদার। ইতিপূর্বেও সে ইয়াবাসহ আটক হলে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা পলাশ হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারামারি, মাদকসহ অসংখ্য মামলা থাকা স্বত্তেও গত ২৮ অক্টোবর ২৩ইং তারিখে অদৃশ্য কারণে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের একটি প্যাডে তার বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গতকাল রবিবার আবারও সে ৩৩ পিস ইয়াবা সহ পুলিশের কাছে আটক হয়। বার বার ইয়াবা সহ আটক হওয়া পলাশ শিকদার এখনো খালিশপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বহাল। তার মদদাতার রয়ে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে।
সূত্রমতে, নগরীর দৌলতপুর থানার পাবলা হাঁস খামারের পূর্ব পাশ থেকে ৩৩ পিস ইয়াবা সহ ছাত্রলীগ নেতা পলাশ হাওলাদার (২৬) ও তার সহযোগী শহিদুল খাকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত ৯ টায় দৌলতপুর এবং খালিশপুর থানার যৌথ অভিযানে এস আই মাসুদ রানার নেতৃত্বে এ এস আই কামাল সঙ্গীও ফোর্স সহ ৩৩ পিস ইয়াবাসহ তাদেরকে আটক করে। এ সময় তাদের ব্যবহারইতো মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। আটক পলাশ হালদার বর্তমানে খালিশপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, তার বাসা বাস্তহারায়। অপরদিকে শহিদুল খা খালিশপুর থানার অন্তর্গত কদমতলা মোড়ের রনির ভাড়াটিয়া। তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ছাত্রলীগ নেতা পলাশ হাওলাদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মারামারি, মাদকসহ অস্যংখ্য মামলা থাকলেও বাস্তহারা এলাকার নেতারা তাকে ব্যবহার করে নানা অপকর্মে। তার ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। মিছিল মিটিংয়ে কিশোরদের নিয়ে আসে সে। কিশোর গ্যাং থেকে ছাত্রলীগ বনে যাওয়া পলাশ হাওলাদার স্কুল, কলেজের গন্ডিতে পা না পড়লেও স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় খালিশপুর থানা ছাত্রলীগের পদ পান তিনি। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে তার অপরাধের মাত্রা।
এ বিষয়ে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাজমুল হক তাজু বলেন, সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সংগঠনে কোন জায়গা নেই। অপরাধ যেই করবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।