জামিনে আসামি মুক্তি পেয়ে অব্যাহত হুমকিতে আতংকে পরিবার
জন্মভূমি রিপোর্ট
খালিশপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সাঈদ মাদক ও জুয়ার বিরদ্ধে প্রতিবাদ করায় নির্যাতনে শিকার হয়েছেন। এ মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়ে এসে তার নিকটজনদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এতে করে এ নির্যাতিত পরিবারটি নতুন করে আক্রমণে শিকার হওয়ার ভয়ে দিনাতিপাত করছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সাঈদ। ইতোমধ্যে তার নিকটজনদের মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে হুমকি দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। তিনি বলেন, “আমার আন্দোলন পিপলস পাঁচতলা কলোনীর ভিতরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ নিয়ে। এ সংসদে জুয়াসহ নানা ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ড হয়। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিগত দিনেও তিনি লাঞ্চিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি এ ব্যাপারে তিনি জিডি করেন। তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ১১নং ওয়ার্ড কমান্ডার। তার প্রতিবাদের কারণে একাধিকবার ওই ক্লাবে তালা দেয় পুলিশ। এ জন্য সুবিধাভোগীরা তার ওপর ক্ষীপ্ত ছিল। তিনি এ ক্লাবে জুয়াসহ নানা অপকর্মের কথা লিখে পুলিশ কমিশনারের নিকট অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি ও খালিশপুর থানা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব একেএম সানাউল্লাহ নান্নুর সুপারিশ রয়েছে। তাদের সুপারিশের পুলিশ কমিশনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং ক্লাব ঘর তালা দিয়ে দেন। কিন্তু চক্রটি পরে আবার পুলিশকে প্রভাবিত করে ক্লাব ঘর খুলে পূর্বের ন্যায় জুয়াসহ নানা অপকর্ম শুরু করে। তারই প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি ও ছেলে নির্যাতিত হয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৯ জুন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খালিশপুর থানা কমান্ড এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সভায় ১১নং ওয়ার্ড কমান্ডার আবু সাঈদকে মারধরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। শেখ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন মহানগর ডেপুটি কমান্ডার শেখ মনিরুল ইসলাম,সহকারি কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ সহিদুল ইসলাম, শিল্প কমান্ডের কমান্ডার মোঃ শাহজাহান, সহকারি কমান্ডার পরিমল, হাফিজুর রহমান প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন বিকেল ৩টার দিকে তৈয়েবা মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ক্লাবে জুয়াসহ অসামাজিক কর্মকান্ডর প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় তিনি খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
খালিশপুর থানা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব একেএম সানাউল্লাহ নান্নু হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একজন প্রবীন মুক্তিযোদ্ধার ওপরে হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে শাস্তিও দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, মুক্তিযোদ্ধার ওপরে হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অপরাধি অবশ্যই বিচারের মূখোমুখি হবে।
খালিশপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা
Leave a comment