জন্মভূমি ডেস্ক : গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শ্রমিক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনায় আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ না করেই আজকে আটক আছেন। অথচ অপরাধ করেও আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মায়া চৌধুরী, হাজী সেলিম বাইরে। নিয়ম কিংবা আইন শুধু বিএনপির জন্য আর অনিয়ম আওয়ামী লীগের জন্য। এ অন্যায়ের বেড়াজাল অবশ্যই ভেঙে তছনছ করে দেব। আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা শুধু মাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা মুক্তি নয়, সারা দেশের মানুষের মুক্তি, সারা দেশে মানুষের সার্বভৌমত্বের মুক্তি, দেশে মানুষের ভোটাধিকারের মুক্তি।
নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে চেয়ারপারসন জেলে। তাকে আমরা মুক্ত করতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্বলতা। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি কখনও আপস করেননি। তিনি বেঁচে আছেন ঠিকই কিন্তু আমাদের মাঝে নাই। তিনি আমাদের মাঝে থাকলে দেশের আজ এই অবস্থা হত না। এদেশ বহু আগে হায়নাদের কাছ থেকে মুক্তি পেত। সেটা বুঝতে পেরে তারা খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আল্লাহতালা বলেছেন আমার রহমত থেকে কেউ নিরাশ হইও না। আমরা কেউ নিরাশ হই নাই। একদিকে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা মুক্তির জন্য দোয়া করব। অন্যদিকে এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করব।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে আওয়ামী লীগকে কেউ রক্ষা করতে পরবে না। বর্তমান ও অবৈধ সরকারের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে। যখন কোন দেশের বিচারক, আলেম ও সুশীল সমাজ অন্ধ হয়ে যায়, মানুষ যখন নিশ্চুপ হয়ে যায় তখন সেই দেশে আল্লাহর গজব নাজিল হয়। কিছু দিনের মধ্যেই এই অবৈধ সরকারের উপর আল্লাহর গজব নাজিল হবে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ।