২০ এ্যাক্টিং সুপারভাইজার বহাল তবিয়তে
জন্মভূমি রিপোর্ট : নার্র্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিকা আক্তার প্রেরিত নির্দেশনা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বছরেও কার্যকর করেনি। বহালতবিয়তে রয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন এ্যাক্টিং সুপারভাইজার। তাদের পদায়ন করেন খুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে সকল নার্সদের পদায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও গত দুই বছরেও তা কার্যকর হয়নি। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপÍরের দেয়া চিঠিতে বলা হয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ওই সব পদায়ন নীতিমালা বহি:ভূত।
গত ৩১ জুলাই-২২ তারিখ নার্র্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিকা আক্তার স্বাক্ষরিত ৪৫.০৩.০০০০.০০১.৯৯.০০১.২১/২৪৯৩ নং-স্বারকে উল্লেখ করা হয়, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকার আওতাধীন দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল/ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে জেলা পাবলিক হেলথ নার্স, সেবা তত্ত্বাবধায়ক, উপ-সেবা তত্ত্ববধায়ক, নার্সিং সুপারভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ নার্স, মিডওয়াফাই, সহকারি নার্সগণ কর্মরত আছেন। তাদের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন কর্মকর্তা, মহাপরিচালক, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, ঢাকা। ওই স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষগণ বিভিন্ন সময়ে জেলা পাবলিক হেলথ নার্স, সেবা তত্ত্ববধায়ক, উপ সেবা তত্ত্ববধায়ক, নার্সিং সুপার ভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ ও সহকারি নার্সগণকে পদায়ন ও অন্যত্র সংযুক্তির পদায়ন আদেশ করে থাকেন। যা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের নিয়োগ, বদলী ও পদন্নোতী নীতিমালা বহি:ভূত।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মকর্তা/কর্মচারিগণকে চলতি দায়িত্ব / অতিরিক্ত দায়িত্ব /সংযুক্তিতে পদায়ন করা থেকে বিরত থাকার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলো।
ইতিপূর্বে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মকর্তা/ কর্মচারিগণকে চলতি দায়িত্ব/ অতিরিক্ত দায়িত্ব / সংযুক্তিতে পদায়ন করেছেন তাদের আদেশ বাতিল করে ১১ আগষ্টে-২২ তারিখের মধ্যে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর মহাখালী, ঢাকাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন।
জানা গেছে, খুমেক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা: মুন্সী রেজা সেকেন্দার দায়িত্বে থাকাকালীন নিজে অনেক নার্সকে এ্যাকটিং সুপারভাইজার হিসেবে পদায়ন দিয়েছিলেন। যা নিয়মবর্হিভুত। বর্তমানে হাসপাতালে নিয়ম বহি:ভুত ২০ জন এ্যাকটিং সুপারভাইজার রয়েছেন। তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই সব পদ পেয়ে নিজেদের ক্ষমতা অপব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। তারা ঠিকমত নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না। নিয়ম বহি:ভুত পদায়ন পেয়ে তারা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।
এব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় নার্সিং অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, অতিরিক্ত সচিবের দেয়া প্রজ্ঞাপন পেয়ে বিভাগের সকল জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের সকল হাসপাতালে যত অবৈধ পদায়ন ছিল বাতিল করতে সক্ষম হয়েছি। তবে খুলনা মেডিকেলের সাথে আমি সংযুক্ত না থাকায় তাদের কার্যকর করাতে পারিনি। সেখানে যারা এ্যাক্টিং সুপারভাইজার আছে সবই অবৈধ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অতিরিক্ত নার্সিং সুপারেন্টেন্ডেন্ট রোকেয়া খাতুন বলেন, আমি এখন নার্সিং সুপারেন্টেন্ডেন্ট এর দায়িত্বও পালন করছি। একই সাথে দু’টি পদে আছি। আমার এখানে কোন এ্যাক্টিং সুপারভাইজার নেই। শুধুমাত্র ইব্রাহীম নামে একজন বাদে আর সবাই সিনিয়র স্টাফ নার্সের দায়িত্ব পালন করছে। সবাই যে যার পূর্বের পোষ্টে কাজ করছে।
নাম না প্রাকাশ করার শর্তে হাসপাতালের একজন সুপারভাইজার বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের নির্দেশে পরিচালক সকল পদায়ন বাতিল করলেও ডেপুটি নার্সিং সুপারেন্টেন্ডেন্ট রোকেয়া খাতুন এখনও তাদের এ্যাক্টিং সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্বে রেখেছেন।