জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে দলাল চক্রের ৩০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এদের ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ১৪ জনকে অর্থদÐ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১ টার দিকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। সাজা প্রাপ্তদের কারাগারে আর বাকীদের অর্থ প্রাপ্ত অর্থ দন্ডের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে দÐবিধি-১৮৬০ এর ২৯১ ধারা মোতাবেক আসামিদের মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় পাঁচজনকে। তারা হলেন, শাহিনা (৩২), ২। মোঃ সোহেল (২৫), ৩। মোঃ বাবুল হাসান (২০), ৪। সুমন কান্তি মন্ডল (৩২) ও সেলিম রেজা (২৮)। সুব্রত কুমার দে (৩০)কে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নয়জনকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তারা হলেন, ১। মোঃ মঈন (২৪), ২। গোবিন্দ ঘোষ (২৮), ৩। হযরত আলী (২৬), ৪। মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৮), ৫। মশিউর রহমান (৩২), ৬। মশিউর রহমান (৩৫), ৭। শেখ নজরুল ইসলাম (৬৫) ৮। লিটন দাশ (৪১) ও মো: মইন।
আসমা (৩০), আবির রায় (১৮), মোঃ টগর গাজী (২৪), রবিন চন্দ্র বিশ্বাস (৩৬),আজমিরা (৫৫) ও সাব্বির রহমান (২১) কে তিন দিন, মোঃ দিপু শেখ (৩৫) ও কাফিকুল ইসলাম (২০) কে ১৫ দিন, উজ্জল (৩৮), সোনিয়া (৩৫), তাপস সরকার (২৬) ও বিলকিস (৪০) কে সাত দিন, ইমরান হাওলাদার (৩২), মোঃ সোহেল (৩৮) ও মোঃ বশির হাওলাদার (২৭) কে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদÐ প্রদান করা হয়।
র্যাব-৬ সূত্রে জানা যায়, মায়ের চিকিৎসা করতে পিরোজপুর থেকে খুমেক হাসপাতালে আসেন মিলন শেখ। বৃহস্পতিবার সন্ধায় এখানে ভর্তি হওয়ার কারণে তিনি মায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে পারেননি। শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটি হওয়ার কারণে সেদিনও পরীক্ষা করাতে পারেননি।
ওই দিন সকালে দালালের মাধ্যমে সোনাডাঙ্গা ডক্টরস ল্যাবে পরীক্ষা করাতে যান। সেখান থেকে বলা হয় শুক্রবার সন্ধ্যায় টেষ্টের রিপোর্ট দেওয়া হবে। তিনি যথাসময়ে হাজির হয়ে রিপোর্ট হাতে পাননি। তাকে বলা হয় শনিবার দেওয়া হবে। সেদিনও তাকে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি র্যাবের কাছে জানান।
জানা যায়, র্যাবের অভিযানের কারণে দালালদের দৌরাত্ম্য কমে গেলেও অভিযান না থাকায় তাদের উপদ্রব ফের বেশ বেড়ে গেছে। মফস্বল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষকে তারা প্রতিনিয়ত ঠকায়। শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করতেও ছাড়ে না। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার র্যাব খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করে।
র্যাবের পরিচালক লে: কর্ণেল মোশতাক আহমদ বলেন, হাসপাতাল ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বড় পরিসরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি
তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণে যে বাধা দিবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সামনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী বলেন, দালালদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎতপরতা চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তারা মফস্বলের রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যায়। তারা সরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে বাধা দেয়। ৩৪ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ দেওয়া হয়েছে। ১৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। ২ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রামানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালে র্যাবের অভিযানে আটক ৩০
Leave a comment