জন্মভূমি রিপোর্ট
১১ দিন পর খুললো দোকান। সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছিল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ০৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে স্ব স্ব বাজার ও দোকান মালিক সমিতি ব্যবস্থাগ্রহন করবে। কিন্তু নগরীর ডাক বাংলামোড়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপনী কেন্দ্র থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, জলিল টাওয়ার, শিববাড়ীর শো রুম কোথাও দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই। আর মার্কেট মালিক সমিতির দৃশ্যমান কোন কার্যক্রমও ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে।
নগরীর ডাক বাংলা মোড়ের ঘড়ি ব্যবসায়ী মোঃ হাসান, মাস্কছারা দোকানে বসে কেনাবেচা করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে মাস্ক পরে বলেন এতদিন পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি এটা আমাদের জন্য ভাল হয়েছে বেচা কেনা কম। স্বাস্থ্যবিধি বা মাস্ক এর ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই বলেন, যতটুকু পারছি ততটুকু করছি। এই যেমন আমিইতো মাস্কছারা ছিলাম আপনাকে দেখে পড়লাম।
একই অবস্থা হোসেন সোহরাওয়ার্দীর মক্কা মদিনা গার্ডেনের মালিক প্রিন্স এর। তিনি বলেন, মানুষ আগের থেকে একটু সচেতন হয়েছে। তবে বেচাকেনা নাই। বাজারে ভিড় আছে কিন্তু সেই অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না।
দুপুর একটায় নগরীর ডাক বাংলা মোড় দেখে বোঝার কোন উপায় নাই যে করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলছে। মাস্কছারা যেমন দোকানিরা বসে আছেন দোকানে। তেমনি মাস্কছারা ক্রেতারাও রয়েছেন। উভয়পক্ষের মধ্যেই রয়েছে সচেতনতার অভাব।
মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মালিক সমিতিরও তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। দৃশ্যমান কোন অবকাঠামো বা নির্দেশনাও নেই সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে। তৎপরতা দেখা যায়নি প্রশাসনেরও। তীব্ররোদে, অসম্ভব ভীড়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
একজন ক্রেতা সাংবাদিক পরিচয় দিতেই চেতে গিয়ে বলেন, আপনাদের কোন কাজ নাই, শুধু শুধু আমাদের ঝামেলায় ফেলেন। যখন তিনি এই কথা বলছেন তখন তার মুখের মাস্কও থুতনিতে ঝুলছে।
ছোটবাচ্চাদের নিয়েও আসা হয়েছে বাজারে। অথচ গত বছর এই বাজারের অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।