নিহতের দুই স্বজন খুলনায়, মৃত্যুর রহস্যভেদের চেষ্টায় পুলিশ
জন্মভূমি রিপোর্ট : গত ২৬ আগস্ট ভৈরব নদ হতে চীনা প্রকৌশলী ওয়াং সিয়াং হুয়া (৪৪)’র লাশ উদ্ধার হয়েছিল। তিনি কি খুন হলেন? নাকি আত্মহত্যা করলেন? গত পাঁচ দিনে এ প্রশ্নের রহস্যভেদ হয়নি। বুধবার নিহতের দুই স্বজন খুলনায় এসে পৌছেছেন। তারা সিয়াং হুয়ার কর্মস্থল খালিশপুরে নির্মানাধীন “রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট সিসিপিপি প্রকল্প এলাকা” ও লাশ উদ্ধারের স্থান পরিদর্শণ করেছেন। দুপুর সাড়ে তিন টার দিকে তদন্ত কর্মকর্তা তাদেরকে মরদেহ দেখানোর জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও তারা কখন এবং কিভাবে লাশ গ্রহণ করে দেশে ফিরবেন, এ ব্যাপারে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্রমতে, চীনা প্রতিষ্ঠান সানডং সানলং সান হুই ইলেকট্রিকাল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রকৌশলী সিয়াং হুয়াকে নির্মাণাধীন ওই পাওয়ার প্লান্টে নিয়োগ করেছিলেন। তিনি গত ২৪ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে কর্মস্থলের গেটের নিকটতম দূরত্বের একটি সেলুনে চুল কাটাতে যান। এরপর তিনি রাতে আর ফেরেননি। তাকে খুঁজে না পাওয়ায় ২৫ আগস্ট তাকে নিয়োগকারী ইলেকট্রিকাল কোম্পানির পক্ষ হতে খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ২৬ আগস্ট সকালে ওই কোম্পানির কয়েকজন ট্রলারযোগে ভৈরব নদে তাকে খোঁজা-খুঁজির এক পর্যায়ে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর নৌ পুলিশের একটি টিম রূপসা উপজেলার যুগিহাটী গ্রামের কেবিসি ইট ভাটা সংলগ্ন নদীর তীর হতে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট রূপসা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। যার নং-২০।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) খুলনা সদর নৌ থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ বজলুর রহমান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, জিন্স প্যান্ট, সাদা-কালো রঙের ফুল হাতা শার্ট ও পায়ে জুতা পরিহিত মরদেহের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। নির্মাণাধীন পাওয়ার প্লান্টের কাছাকাছি দূরত্বে ভৈরব নদ হলেও তার মৃতদেহ কিভাবে সেখানে গেল? তিনি কি আত্মহত্যা করলেন? নাকি তাকে খুন করা হলো? তাকে হত্যা করা হলে ঘাতক কারা? কেন এবং কিভাবে তাকে খুন করা হলো? পুলিশ এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া যাবে বলে আইও জানিয়েছেন।