জন্মভূমি রিপোর্ট : বাঙালি সনাতনী সমাজের একটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় সামাজিক উৎসব দুর্গাপূজা। আশি^ন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠি থেকে দশম দিন পর্যন্ত ৫দিন চলে এই শারদিয়া দুর্গাউৎসব। আগামী ২০অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এই পূজা। ২৪অক্টোবর বিজয় দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে এই উৎসব পালনের জন্য সরকার খুলনা জেলায় ৯৯০টি পূজা মণ্ডপের জন্য ৪৯৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০কেজি করে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনবার্সন শাখা থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়। গত ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বরাদ্দ পত্র প্রেরণ করা হয়। নগরীতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন’র পক্ষ থেকে ৫ থানায় ৭৮ টি মণ্ডপে ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের কাছে এই অর্থ প্রদান করা হবে। গত বছর নগরীতে কেসিসির পক্ষ থেকে ৫থানায় ৭৫টি মণ্ডপে ৬লাখ ৫৮হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল।
জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন শাখা সূত্র জানায়, এ বছর খুলনায় ৯৯১টি মণ্ডপে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয়া দুর্গোৎসব। এর মধ্যে নগরীতে ১০২ ও জেলায় ৮৮৯টি। এর মধ্যে জেলার নয় উপজেলায় ৮৮৮টি এবং খুলনা মহানগরীর খুলনা সদর থানা, সোনাডাঙ্গা থানা, খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানায় ৭৮টি মণ্ডপে ৬লাখ ৭৩হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পারিবারিক মন্ডপগুলোতে সরকারি কোন অনুদান বরাদ্দ নেই। নগরীর ৮থানায় ১০২টি এবং জেলার কয়রা উপজেলায় ৫৭টি, পাইকগাছা উপজেলায় ১৫৫টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি, ফুলতলায় ৩৪টি, দাকোপ ৮৪টি, বটিয়াঘাটায় ১০০টি, রূপসায় ৭৫টি, তেরখাদায় ১০৭টি এবং দিঘলিয়ায় ৬৩টি মণ্ডপে পালিত হবে এই বড় ধর্মীয় উৎসব।
প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে ৯৯০টি মণ্ডপে ৪৯৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া করা হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা থেকে এই চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে সিসি ক্যামেরা, নিজস্ব সেচ্ছাসেবী, আনসার সদস্য ও আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু বলেন, আগামী ২-১দিনের মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল পাওয়া যাবে। নিরাপত্তা বিধানে রাতে যেন লোডশেডিং না হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবি জানান তিনি। ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মণ্ডপের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। নেতৃবৃন্দ সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি করার দাবি জানান।
জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা মো. আ. করিম জানান, প্রতিটি উপজেলায় বরাদ্দ পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। মন্ডপ বৃদ্দি হলেও বরাদ্দ বৃদ্দি হবেনা। এই চাল বিক্রি করার কোন নিয়ম নেই। সরকার চাল দিচ্ছে ভক্তদের প্রসাদের জন্য। সে চাল পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা বিক্রি করে দেন।