দিগন্তজোড়া মাঠে হেমন্তের বাতাসে দুলছে সোনালী ধান
৪৫ শতাংশ কর্তন সম্পন্ন
হারুন-অর-রশীদ : হেমন্তের মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধান। খুলনার দিগন্ত জোড়া মাঠে সোনাঝড়া রোদের সাথে মিশে রয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। কৃষকের চোখে আনন্দ অশ্রু। ধান প্রধান খাদ্যশস্য। এর সাথে দেশের র্অথনীতি ও সংস্কৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শীতের কুয়াশামুড়ি দিয়ে শিশির ভেজা সকালে কৃষক যাচ্ছেন মাঠে। প্রতিদিন চলছে ধান কর্তন। রোববার পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। খুলনা কৃষি অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৩৬ হেক্টর জমি বেশী আবাদ করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ১০০.৭ শতাংশ আবাদ করা হয়েছে। হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান আবাদ করা হয়। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে।
খুলনা কৃষি অঞ্চলে রোপা আমন ধান গড়ে হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে ৪.২৩ মেট্রিকটন এবং চাল ২.৮২ মেট্রিকটন। সরকার ৩৩ হাজার ৬০০ ক্ষুদ্র ও পান্তিক কৃষকদের ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯৭২৯৩ হেক্টর জমি। আবাদ করা হয়েছে ২৯৯৪২৯ হেক্টর। ধান ১২৫৬১২৭ মেট্রিকটন এবং চাল ৮৩৭৪১৮ মেট্রিকটন উৎপাদন হয়েছে ।
খুলনা কৃষি অঞ্চলের মধ্যে খুলনা জেলায় জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৩১৮৫ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৯৪৭৯০হেক্টর। ধান উৎপাদন হয়েছে ৪১৩৫৩৯.৫ মেট্রিকটন এবং চাল ২৭৫৬৯৩ মেট্রিকটন। বাগেরহাট জেলায় জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩০৯৬ হেক্টর জমি। আবাদ করা হয়েছে ৭৩১৮৬ হেক্টর। ধান উৎপাদন হয়েছে ২৭৪৪৩২.৫ মেট্রিকটন এবং চাল ১৮২৯৫৫ মেট্রিকটন। সাতক্ষীরা জেলায় জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮৭৫০ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৮৮৭৬৮ হেক্টর। ধান উৎপাদন হয়েছে ৩৭৮৮৮৫ মেট্রিকটন এবং চাল ২৫২৫৯০ মেট্রিকটন এবং নড়াইল জেলায় জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২২৬২ হেক্টর জমি। আবাদ করা হয়েছে ৪২৬৮৫ হেক্টর। ধান উৎপাদন হয়েছে ১৮৯২৭০ মেট্রিকটন ও চাল ১২৬১৮০ মেট্রিকটন চাল।
ক্ষুদ্র ও পান্তিক কৃষক ২০২৩-২৪ মৌসুমে রোপা আমন উফশী জাতের জন্য প্রণোদনা টাকার পরিবর্তে প্রতিজন প্রতি বিঘার জন্য পেয়েছেন উফশী বীজ ৫কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি এবং হাইব্রিজ জাতের জন্য প্রতি বিঘার জন্য বীজ ২কেজি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। নিজেরা উদ্যেগী হয়ে পতিত জমিতে আবাদ করার জন্য এগিয়ে আসছেন। বাম্পার ফলন এবং উৎপাদনও ভালো হয়েছে। এখন উচ্ছ ফলনশীল ধান হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভা লো হয়েছে। কৃষকের পূরণ হবে। মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। খুলনা অঞ্চলে কোন পতিত জমি থাকবেনা। উৎপাদন যাতে নির্বিঘ্ন হয় সে দিকে নজরদারী করা হচ্ছে।