সোনালী ব্যাংকের ৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ
জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর সোনালী ব্যাংকের দৌলতপুর শাখা থেকে ৯২ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় পাট ব্যবসায়ী মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী সনজিৎ কুমার দাসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন। খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে পরবর্তী কয়েকবছরে পাট কেনার জন্য ৯২ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া হয়। যা সুদে-আসলে বর্তমানে ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। উক্ত ঘটনায় ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুদক খুলনার উপসহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সনজিৎ কুমার দাসসহ ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট দুদকের একই কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সূত্র জানায়, অর্থ আত্মসাতের মামলার সনজিৎ কুমার দাস দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশন তাকে নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু সনজিৎ কুমার দাস তার পাসপোর্ট জমা না দিয়ে র্যাব জব্দ করেছে বলে আদালতকে জানান। পরবর্তীতে তার পাসপোর্ট র্যাব জব্দ করেনি বলে নিশ্চিত হয় দুদক। একই মামলায় সোনালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখার গোডাউন কিপার মতিয়ার রহমান, সাবেক এজিএম নজরুল ইসলাম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মানিক চন্দ্র মণ্ডল, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রুহুল আমিন, অফিসার অজিত কুমার সরকারকে আসামি করা হয়।