জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনার শহীদ শেখ আবুল কাশেম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক চিত্তরঞ্জন বাইনের বাসায় ডাকাতি ও তাকে খুনের মামলার দু’ আসামিকে আদালতে মৃত্যুদÐে দÐিত করেছেন। জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রইব্যুনাল, খুলনার বিচারক মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে এ রায় ঘোষনা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নগরীর খুলনা সদর থানাধীন শের এ বাংলা রোডস্থ রায়পাড়া এলাকার ইকরাম গাজীর ছেলে মোঃ তুহিন গাজী এবং নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামের ইকরাম মুন্সির ছেলে রাজু মুন্সি ওরফে গালকাটা রাজু। রায় ঘোষনার সময় তুহিন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রাজু পলাতক রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে সাজা উল্লেখ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার অপর আট আসামি মো: আজিজুল ইসলাম, মো: মাহফুজ হাওলাদার, রাসেল, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মো: শাওন শেখ, বাবু শেখ, আব্দুল্লাহ এবং মো: সুলতানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণে সমর্থ না হওয়ায় তারা খালাশ পেয়েছেন। ট্রাইবুনাল-এর দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য জানান।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, প্রভাষক চিত্তরঞ্জন (৪৫) নগরীর শেরেবাংলা রোডস্থ আমতলা মোড় এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করতেন। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারী সকাল ১১টায় চিত্তরঞ্জনের স্ত্রী লাকী গোলদার দু’ মেয়েকে সাথে নিয়ে বটিয়াঘাটায় বেড়াতে যান। ওই শিক্ষক কয়েকদিন ধরে বাসায় একা ছিলেন। ১৪ জানুয়ারী রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরদিন সকাল ১১ টার মধ্যে মধ্যে যেকোন সময়ে একদল ডাকাত জানালার গ্রিল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা চিত্তরঞ্জনকে হাত-পা-মুখ বেঁধে খুন করে লাশ খাটের উপর ফেলে রেখে যায়। দুবৃত্বরা তখন নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ আনুমানিক দু’ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুবোল বাইন খুলনা সদর থানায় হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১২ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কামাল উদ্দিন ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।