তথ্যবিবরণী : বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ ঘন্টা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা শনিবার সকালে খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অভিশাপ। একে প্রতিহত করতে হবে, এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকার দেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে নিরোধ আইন প্রণয়ন করেছে। দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ী পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ বছর পূর্ণ এবং নারীর জন্য ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করা যাবে না। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে দেশের জনগণের মাঝে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে জানাতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সারা বিশে^ একটি রোল মডেল। যে করে হোক আমাদের বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে মা, বাবা ও কন্যা সন্তানদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ১০৯, ৯৯৯ ও ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিবাহ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হতে হবে।
সভায় খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম আবুল বাসার মোল্লা, খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা, প্রোগ্রাম অফিসার সাজিয়া আফরিন সিদ্দিকীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তৃতা করেন।
এর আগে বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
অনুষ্ঠানে স্কুল পর্যায়ের প্রায় তিনশত শিক্ষার্থী অংশ নেন। দুপুরে নগরীর শহিদ শেখ আবু নাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ ঘন্টা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।