জন্মভূমি ডেস্ক : খুলনায় বিভাগীয় মহাসমাবেশে আসতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে মিছিল নিয়ে আসছেন তারা।
দেখা যায়, বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছে। অনেকেই বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে জড়ো হচ্ছেন। সাদা, হলুদ, লাল রঙের টিশার্ট ও টুপি পড়ে বাহারী সাজে সেজেছেন। অনেকেই লাল সবুজের পতাকার রঙে পোশাক পরে নৌকা মাথায় ও হাতে নিয়ে সমাবেশকে সফল করতে এসেছেন। ৫ বছরেরও বেশি সময় পর প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা ঘিরে খুলনা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের নেতাদের। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে পুরো নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে সোমবার দুপুর পৌনে একটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। এরপর দুপুর একটা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। বিকেল পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।
জেলা প্রশাসন জানায়, প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, পোস্টার, প্লাকার্ড, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরী। ইতোমধ্যে সার্কিট হাউজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ। রাতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে।
গতকাল রবিবার দুপুরে আ’লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ আ’লীগের নেতারা সার্কিট হাউজ ময়দান জনসভার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন।
আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন জানান, জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুরের ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এবারের জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। জনসভাস্থলের আশপাশের সব সড়কে মাইক দেয়া হয়েছে, যাতে সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর নেতা-কর্মীরা রাস্তার দাঁড়িয়ে প্রিয় নেত্রীর ভাষণ শুনতে পারেন।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, খুলনাবাসীর ১৮টি দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ইতিবাচক ঘোষণা দেবেন বলে আমরা আশা করছি।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সার্কিট হাউসের জনসভার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের অপেক্ষায় রয়েছে খুলনাবাসী।