বিজ্ঞপ্তি : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনায় স্মার্ট স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু করা হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ পর্যাপ্ত জনবল বৃদ্ধি করে খুলনার হাসপাতালগুলোকে আরো উন্নত করতে কাজ করা হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা দিয়ে শুরু করেন। পরবর্তীতে হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যায় পরিণত করা হয়। সেটি আবার ২৫০ শয্যায় ফিরিয়ে নেয় বিএনপি। পরবর্তীতে সালাউদ্দিন ইউসুফ পুনরায় হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যা করেন। মোহাম্মদ নাসিম ৫০০ থেকে ১০০০ শয্যার অনুমোদন দেন। খুলনার স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে বিএনপি এ অঞ্চলের মানুষের সাথে তামাশা করেছে। বিএনপি খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে কিছুই দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সেবাসহ এ অঞ্চলের মানুষের সার্বিক চাহিদা পূরণ করেছেন। বরং বিএনপি খুলনা থেকে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বগুড়ায় সরিয়ে নিয়ে যায়। আগামীতে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সব হাসপাতালগুলোকে আরো উন্নত করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। ডা. এস এম শামসুল আহসান মাসুমের সভাপতিত্বে এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. সুমন রায়ের পরিচালনায় স্বাগত বক্তৃতা করেন ডা. মেহেদী নেওয়াজ। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান, পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. মঞ্জুর মুর্শিদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দ্বীন উল ইসলাম, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, ডা. দিদারুল আলম শাহিন, ডা. মো. নিয়াজ মোস্তাফি চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, ডা. ইউনুছুজ্জামান তারিম, ডা. মোল্লা হারুন অর রশীদ, ডা. তুষার আলম, ডা. সাইফুল্লাহ মানসুর, ডা. শিমুল, ডা. সাজিয়া। এসময়ে স্বাচিপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এসময়ে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। নির্বাচনী প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুলের সভাপতিত্বে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, নির্বাহী সদস্য এস এম আকিল উদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, মহানগর যুব লীগের সভাপতি মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর কৃষক লীগের সদস্য সচিব অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, মহানগর মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহিম খলিল ইমন, শ্রমিক লীগ নেতা হাবিবুর রহমা দুলাল, যুবলীগ নেতা জহির আব্বাস, মাহমুদুল হাসান, মেহেদী হাসান রাসেল, জব্বার আলী হীরা, মাহমুদুর রহমান রাজেসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।