প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কৌশলে চলছে পারাপার
এম সাইফুল ইসলাম
করোনাকালে নানা বিধি নিষেধ মধ্যেও চলছে খুলনার প্রায় অধিকাংশ ঘাটে যাত্রী পারাপার। মাঝিরা ব্যাবহার করছে অভিনব কৌশল ও তৈরি করছে সিন্ডিকেট। এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী ও যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহারের ঘটনাও ঘটছে।
নগরীর জেলখানা ঘাট লকডাউন এর কারনে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ঘাট সংলগ্ন একটি ইট ভাটায় ভিড়ছে ট্রলার। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা বাধ্য হয়েই ব্যাবহার করছেন বিকল্প পথ। তবে সেক্ষেত্রে ঘাটে চলাচল করা ট্রলারে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
এছাড়াও মোটর সাইকেল পারাপারের ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে দিগুণ ভাড়া। একটি মোটর সাইকেল ট্রলারে তুলে দিতে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা, ট্রলারে মোটর সাইকেল বাবদ নেওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা আর মোটর সাইকেল আরোহীর সাথে কেউ থাকলে আরো ১৫ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে এখানেই শেষ নয় নদী পার হয়ে অপর পারেও মোটর সাইকেল নামাতে গুনতে হচ্ছে আরো ২০ টাকা।
ঘাটের যাত্রী মো: জাফর হোসেন জানান, তাকে দিনে ২-৩ বার কাজের জন্য পারাপার করতে হয় এখান থেকে মোটর সাইকেল সহ প্রতিবারই তাকে হতে হয় দ্বিগুণ ভাড়ার সম্মুখীন। এই চলমান অবস্থার ছবি তুলতে গেলে বাধা দেওয়া হয় এক সংবাদকর্মীকে। তাদের খামখেয়ালিপনায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
মাঝিরা ঘাট ছেড়ে অন্য স্থানে যাত্রী ওঠা-নামা করে থাকেন। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া হালকা ওজনের মালামাল যাত্রীরা সঙ্গে নিলে তা নিয়েও বাকবিতন্ডার শেষ নেই। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে থাকে। এ নিয়ে ট্রলার মাঝি সমিতির কোনও মাথাব্যথা নেই।
একই অবস্থা মহানগরীর রূপসা ঘাটের। সম্প্রতি নারী উদ্যোক্তা তসলিমা বেগম। তিনি ব্যক্তিগত কাজে ঘাট পার হয়ে আসছিলেন । এ সময় তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এ সময় তার কাছ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া হয়। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, করোনাকালে অতিরিক্ত ডাত্রী বোঝাই করে ট্রলার পারাপার করা হচ্ছে। ভাড়াও নেয়া হচ্ছে কয়েকগুন। নামিয়ে দেয়া হচ্ছে কাদা পানিতে। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।
ট্রলারে যাত্রী তোলার ক্ষেত্রেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয় না। ট্রলারে তোলা হচ্ছে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী। রাতে অধিকাংশ ট্রলার বাতি ছাড়াই চলাচল করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘাট মাঝি কোন সদুত্তর না দিয়ে এ প্রতিবেদককে জানান, ঘাটের বিষয়ে একমাত্র ইজারাদার-ই কথা বলবেন। ইজারাদারকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসকের ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করে থাকি। কিন্তুু যদি তোন মাঝি গোপনে পার করে থাকে, আমরা সরেজমিনে গেলে আর পার করেন না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। কিনি আরও বলেন, লকডাউন কড়াকড়ি চললেও ঘাট পারাপারে রোগীদের ক্ষেত্রে শিথিলতা রয়েছে।