হারুন–অর–রশীদ
চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকার সারা দেশের মত খুলনার বিপণী বিতানগুলো ৭ঘন্টা খুলে দেয়ায় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটছে। ঈদকে সামনে রেখে কিছুটা হলেও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন। তারা বৈশাখী উৎসবেও পণ্য সামগ্রী বেচতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্যবিধি ছিল ঢিলেঢালা। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। ক্রেতাদের মুখে মাক্স থাকলেও অনেক ব্যবসায়ীদের মুখে মাক্স ছিলনা। বিপনী বিতানগুলোতে নারীদের ভিড় ছিল বেশী। কিছুটা হলেও ফিরে গেছে পুরনো চেহারায়। স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। সচল হচ্ছে অর্থনীতির চাকা। রোববার বিভিন্ন বিপণী বিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
করোনা সংক্রমনের ২য় ঢেউ প্রতিরোধ করতে সরকার ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেন। পরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল এবং ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে আবেদন জানান। সরকার সবদিক বিবেচনা করে রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলার অনুমোদন দেন। সে আলোকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোললেও অনেকটা ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে।
নগরীর নিউ মার্কেট, জলিল টাওয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দী বিপণী বিতান, রেলওয়ে বিপাণী বিতান, দরবেশ চেম্বর, শহীদ অ্যাডভোকেট জব্বার বিপণী বিতাণ, ছোয়া বাজার, কবি নজরুল ইসলাম বিপণী বিতান, এস এম রব শপিং কমপ্লেক্স, নান্নু সুপার মার্কেট, মানিক মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, হ্যানিম্যান মার্কেট, শাহ জালাল শপিং মহল, বড় বাজার তুলাপট্টি, বড় বাজার পাবনা পট্টি, এম রহমান চেম্বার, ঠাকুরবাড়ি গলি, খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, আখতার চেম্বার, এশা চেম্বার, হাজি মালেক চেম্বার, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, খুলনা বিপণী কেন্দ্র, মশিউর রহমান বিপণী বিতান, চাঁদনী চক মার্কেট, বড় বাজার কাপুড়িয়া পট্টিসহ বিভিন্ন শো রুমগুলো সেজেছে নবরূপে। এসব বিপণী বিতানের দোকনগুলোতে রয়েছে রকমারী পণ্য সামগ্রী। সাজানো গোছানো ও পরিপাটি। আশানুরূপ ক্রেতা নেই। পরিবহন চালু হলে ক্রেতার সংখ্যা বাড়াবে। সেই সাথে ভিড়ও বাড়বে।