বিজ্ঞপ্তি : বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্র করেই আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। এবার তাদের প্রয়োজনে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার অধীনে দেশে আর কোনো সংসদ নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ কোনো বিরোধী দল অংশও নেবে না। খুলনার মানুষ প্রমান করেছে শেখ হাসিনার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। আজ বিনাভোটের সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘসহ পৃথিবির প্রতিটি গনতান্ত্রিক দেশ। পৃথিবীর মোড়ল রাষ্ট্রগুলো বলেছে বাংলাদেশে গনতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বিগত একবছরে স্বৈারাচার সরকার ১৯জন নেতাকর্মীকে খুন করেছে। জেল-জুলুম, খুন-গুম করে চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত র্যালী পুর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একজনের নির্দেশে চলছে-এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। মিথ্যা মামলা দিয়ে গনতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছেন। দুই কোটি টাকা ব্যাংকে এখন ১০ কোটি টাকা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনার বিচার এদেশের মাটিতে হবে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। পৃথিবীর কোন আদালত প্রমান করতে পারবে না তারেক রহমান মানিলন্ডারিং করেছেন। প্রখ্যাত ডাক্তার জোবাইদা রহমান দেশে আসবেন খবরে আতঙ্কিত হয়ে তাকেও সাজা দিয়েছেন। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে যা ইচ্ছে তাই করছেন কিন্তু আর সময় নেই এদেশের মানুষ হাসিনাকে বিতাড়িত করবেই। দুনীতিবাজ হাসিনা, দুনির্তীবাজ বিচারকদের বিচারও এদেশের মাটিতে হবে। আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। গোটা দেশের সানুষ একদিকে আর হাসিনা একদিকে। রাজপথেই ফয়সালা হবে দেশের জনগণ নাকি স্বৈরাচার হাসিনা শক্তিশালী। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য তারেক রহমান ৩১দফা ঘোষনা দিয়েছেন। বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না। সবদলকে নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট হবে। দুদকের উদেশ্যে বুলু বলেন, যারা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার পাচার করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করছেন তাদের দুদুক ধরছে না। তারা চুরোপুটিদের পিছনে ছুটছে। প্রশাসনের উদেশ্যে বলেন, চাকুরি নেয়ার সময় শপথ নিয়েছিলেন দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনে কাজ করবেন কিন্তু তারা শপথ ভঙ্গ করেছেন। সবকিছুর বিচার এদেশের মাটিতেই হবে। দ্রব্যমুল্যের কষাঘাতে মানুষ দিশেহারা কিন্তু সরকার দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হাসিনার পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশবসিকে সাথে নিয়ে শীঘ্রই আমরা বিজয় মিছিল করবো। আওয়ামী লীগ দেশে আর কখনো একদলীয় কোনো নির্বাচন করার অপচেষ্টা করলে দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের সেই অপচেষ্টা রুখে দেবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল খুলনার মাটি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ঘাঁটি উল্লেখ করেন বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন কিন্তু প্রতিটি দেশ থেকে প্রত্যাখিত হয়ে ফিরে এসেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতন আসন্ন। অবৈধ সরকারের অধীনে এদেশের আর কোন নির্বাচন হবে না। দেশের জনগণ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে। দিশেহারা সরকার ফেসবুকের স্ট্যাটাসও সহ্য করতে পারে না। ছেলের স্ট্যাটাসের জন্য মাকে গ্রেফতার করা হয়। তারা ৭১সালের পাকবাহিনীকেও হার মানিয়েছে। পদত্যাগের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী পরিষদের প্রতি আহবান জানিয়ে হেলাল বলেন, গণবিস্ফোরণের মুখে পালাবার পথ খুজে পাবেন না। অনেক আগেই আপনাদের গদি আপনাদের ছেড়ে পিছন থেকে সরে গেছে। সভা থেকে যুবদল নেতা এবাদুল হক রুবায়েতসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবি জানানো হয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী, স. ম. আ. রহমান, সাইফুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ইসা, এস এ রহমান, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী, শের আলম সান্টু, মোল্লা মোশাররফ রহমান, আবুল কালাম জিয়া, অধ্যাপক মনিরুল হক, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়বুর রহমান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবীর, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান, একরামুল হক হেলাল, শামসুল আলম, মাসুদ পারভেজ বাবু, মেজবাউল আলম, শেখ সাদি ও এনামুল হক, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ প্রমূখ।
র্যালী শুরুর আগে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে র্যালীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথিসহ নেতৃবৃন্দ। দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালী শুরু হয়ে স্যার ইকবাল রোড, যশোর রোড, খানজাহান আলী রোড প্রদক্ষিন করে রয়েল চত্ত্বরে গিয়ে পথ সভার মধ্যদিয়ে শেষ হয়। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা, উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হতে থাকেন।এর আগে দিনের শুরুতে মহানগর বিএনপি কার্যালয়সহ জেলা ও মহানগরীর সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, সকাল সাড়ে দশটায় দলীয় কার্যালয়ে শহীদ জিয়া, আরাফাত রহমান কোকো সহ বিএনপি প্রতিষ্ঠা থেকে এখন পর্যন্ত যে সমস্ত নেতাকর্মী শাহাদাৎ ও মৃত্যুবরন করেছেন তাদের স্মরনে এবং দেশনেন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনার মানুষ প্রমান করেছে শেখ হাসিনার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে: বরকত উল্লাহ বুলু
Leave a comment