জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনা শহরজুড়ে যেখানে সেখানে ফ্লাট বাড়ি ভাড়া করে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ব্যঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মানহীন ডায়গনস্টিক সেন্টার। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্লিনিকগুলোই বিভিন্ন ওলি-গলির মধ্যে কোনোরকমে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েই খুলনার স্বনামধন্য ডাক্তারদের নামের তালিকা রেখে সাধারণ মানুষদের নজর আকৃষ্ট করলেও নেই কোনো সেবার মান।
নেই নিজস্ব ডাক্তার, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নার্স পাশাপাশি অনভিজ্ঞ টেকনেশিয়ান ডাক্তার দ্বারা রোগ নির্ণয় পরীক্ষা করানোর কারণে অহরহ ভুল রিপোর্ট দেওয়াতে সংকাটাপন্ন রোগীরা পতিত হচ্ছে মৃত্যুর মুখে। অবৈধ ক্লিনিকগুলোর মধ্যে খুলনা শহরেই রয়েছে মোট ২৬২টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তার মধ্যে মাত্র ৬৮টি ক্লিনিকের বৈধ অনুমোদন থাকলেও বাকিগুলোর কোনো সরকারি অনুমোদন নেই।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: মো: জঞ্জুরুল মুর্শিদের নিকট এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের শহরে কিছু পয়সাওয়ালা ধনাঢ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের শুধু অর্থ বলই না পাশাপাশি জনবলও রয়েছে উচ্চ পর্যায়ে। যে কারণে রাতারাতি এ সব ক্লিনিক গড়ে উঠছে।
গেল বছর জুলাই মাসে গল্লামারীর সুন্দরবন ক্লিনিকে অবৈধ গর্ভপাত ও শিশু বিক্রির জঘন্য ঘটনা ঘটে। খুলনা র্যাব-৬ এর ব্যাটেলিয়ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুন্দরবন ক্লিনিকের মালিক সস্ত্রীক ও কর্মরত নার্স, আয়া ও সুইপারসহ ১০ জনকে আটক করে ক্লিনিকটি সিলগালা এবং বন্ধ করে দেয়।
অধিকাংশ অনুমোদনহীন ক্লিনিকের মালিকদের নিকট গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আমাদের বৈধ অনুমোদন নাই তাতে কি হয়েছে আমরা অনলাইনে আবেদন করেছি সময়মতন নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদনপত্র পেয়ে যাব।
খুলনায় অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে আবারও নামছে স্বাস্থ্য বিভাগ
Leave a comment