জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনায় চলছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নগরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের শুরুতে বিভাগের বিভিন্ন জেলার শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
গণসমাবেশ সভাপতিত্ব করছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুল আলম। গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য খালি চেয়ার রাখা হয়েছে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ নানা দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে বক্তব্য দেবেন নেতারা। কর্মসূচি সামনে রেখে গত রাতেই সমাবেশস্থলে জড়ো হন হাজারও নেতাকর্মী। সমাবেশে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।
বিভাগজুড়ে চলতে থাকা দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগ ট্রেনে ও ট্রলারে করে এসেছেন, কেউবা পায়ে হেঁটে এসেছেন। অনেকে সমাবেশের এক বা দুই দিন আগেও খুলনায় এসে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসা, মেস ও হোটেলে থেকেছেন। পরিবহনসংকট পাশ কাটিয়ে সমাবেশে আসতে তাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টাঙানো হয়েছে ১২০টি মাইক। আটটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে প্রজেক্টর।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। থাকবে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি। এছাড়া শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।