বিজ্ঞপ্তি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারওয়ার বলেছেন, অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। দেশে যে সরকার রয়েছে, তারা নির্বাচিত নয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সরকার দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে দাবি করে তিনি বলেন, বুকের রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের প্রস্তত থাকতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের ডাক আসা মাত্র আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যেখানেই বাঁধা আসবে, সেখানেই প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে হবে।
সারাদেশে সীমাহীন লোডশেডিং ও জ¦ালানি খাতে দুর্নীতি অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে খুলনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সারওয়ার এ কথা বলেন। শনিবার বিকেলে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসুচি পালিত হয়।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সারওয়ার অভিযোগ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূলমন্ত্রকে ভূলুন্ঠিত করেছে সরকার। তিন দলীয় জোটের রূপরেখাকেও তারা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। পরিকল্পিতভাবে সংবিধান থেকে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। আজ রাষ্ট্র, সরকার ও দল একাকা হয়ে গেছে। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এর সবই করা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানোর জন্য। তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরে রাজনীতি করতে না পারেন, সে জন্য। এ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আমাদেরকে শক্তিশালী গণঅভ্যূত্থান গড়ে তুলতে হবে।
মজিবুর রহমান বলেন, প্রখ্যাত অর্থনীতিবীদ নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে যে দূর্ভিক্ষ হয়েছিল, তা খাদ্যের অভাবে হয়নি। বরং পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে ও অব্যবস্থাপনার কারণে হয়েছিল। সে সময়ের সরকার সত্য প্রকাশকে ভয় পেতো। তারা চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশ আবারও সেই সংকটে পতিত হয়েছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল। বিশেষ বক্তা ছিলেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শেখ মুজিবুর রহমান।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, আমির এজাজ খান, মনিরুল হাসান বাপ্পী, তারিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, সৈয়দা রেহানা ঈসা, এড. ইুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, খায়রুল ইসলাম খান জনি, মাহবুব হাসান পিয়ারু, তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, শামীম কবির, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ইবাদুল হক রুবায়েদ, ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, উজ্জল কুমার সাহা, আজিজা খানম এলিজা, এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, সজীব তালুকদার, মোল্লা কবির হোসেন, আবু সাঈদ প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও শেখ সাদী। সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা কাজী আবু নাঈম।
অভিন্ন দাবিতে আজ রোববার একই স্থানে জেলা বিএনপির আহবানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হুমকিতে, পুনরুদ্ধারে বুকের রক্ত দিতে হবে
Leave a comment