জন্মভূমি রিপোর্ট
বাঙালি সনাতনী সমাজের একটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় সামাজিক উৎসব দুর্গাপূজা। আশি^ন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশম দিন পর্যন্ত ৫দিন চলে এই শারদীয়া দুর্গোৎসব। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এই পূজা।
খুলনায় ১০১০টি মÐপে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের শারদীয়া দুর্গোৎসব। আগামী ১অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এই উৎসব। মন্ডপ ও যেখানে প্রতিমা নির্মাণ হচ্ছে সেখানে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা আলোকসজ্জা ও লোডশেডিং না করার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। কারণ যদি বিদ্যুৎ না থাকে তা হলে দুস্কৃতিকারীরা মন্ডপে প্রবেশ করতে পারে। এমনকি যেখানে প্রতিমা নির্মাণ হচ্ছে সেখানেও ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। খুলনায় এ বছর ১০১০টি মÐপে সার্বজনীন দুর্গোা পূজা হচ্ছে। এর মধ্যে নগরে ১৩০ ও জেলায় ৮৮০টি। চলছে প্রতিমা নির্মাণের কাজ। শিল্পীরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। এ বছর নগরীর জেলা পুলিশ লাইন এলাকায় ১টি ও জেলায় ৭টি মন্ডপ বেড়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, নগরীর পূজা মন্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনা সদর থানা এলাকায় ২৮টি, সোনাডাঙ্গা ১১টি, খালিশপুর ১০টি, দৌলতপুর ১৯টি, খানজাহান আলী থানা এলাকায় ৬টি, হরিণটানা ৫টি, লবণচরা ৯টি এবং আড়ংঘাটা থানা এলাকায় রয়েছে ৪২টি।
জেলার কয়রা উপজেলায় ৫৫টি, পাইকগাছা পৌরসভায় ৬টি, পাাইকগাছা উপজেলায় ১৪৮টি, ডুমুরিয়ায় ২০৪টি, ফুলতলায় ৩৪টি, দাকোপ ৭৪টি, চালনা পৌরসভায় ১০টি, বটিয়াঘাটায় ১০৫টি, রূপসায় ৭৬টি, তেরখাদায় ১০৯টি এবং দিঘলিয়ায় ৫৯টি মÐপে পালিত হবে এই বড় ধর্মীয় উৎসব। ডুমুরিয়ায় সব’চে বেশী মÐপে পূজা হচ্ছে। প্রতিমা নির্মাণের পাশাপাশি চলছে মন্ডপ নির্মাণের কাজ। গত বছর করোনার কারণে তেমন জাঁকজমকপূর্ণ পূজা পালিত না হলেও এ বছর বেশ জমবে ভাল। প্রতিটি মÐপে থাকবে সিসি ক্যামেরা ও নিজস্ব সেচ্ছাসেবীসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নগর শাখার সভাপতি শ্যামল হালদার ও সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু বলেন, নিরাপত্তা বিধানে রাতে যেন লোডশেডিং না হয়। দিনে লোডশিডিং হলেও কোন সমস্যা হয়না। ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মÐপের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
আদি কালিপাড়া সার্বজনানীন পূজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল ব্যানার্জী বলেন, দ্রæত চলছে প্রতীমা নির্মাণের কাজ। সুব্রত হালদার তপা বলেন, এই পূজা সম্পন্ন করতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।
খুলনায় ১০১০টি মন্ডপে পূজা হচ্ছে
Leave a comment