জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা একুশে বই মেলার নবম দিনে গতকাল শুক্রবার গণগ্রন্থগার চত্বরে ছিল ক্রেতা দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। মেলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুক্রবার ছুটির দিনে বইয়ের প্রতিটি স্টলে বিক্রির হার ছিল উল্লেখযোগ্য। যদিও বুক স্টল মালিকদের অভিযোগ এ বছর মেলায় প্রচার প্রচারনা না থাকায় তাদের ব্যবসা খুব একটা ভাল নয়। মেলার আয়োজন কর্তৃপক্ষ প্রচারের ক্ষেত্রে এক প্রকার উদাসীন। বই বিক্রেতাদের ধারণা নগরী এবং আশপাশের এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হলে বিক্রি অবশ্যই বেড়ে যাবে।
শুক্রবার বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে প্রবেশ করেই দু’দিকে চোখে পড়ে ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড়। তারা তাদের পছন্দের বই খুঁজতে যেন বইয়ের স্টল গুলোর উপর হুমড়ী খেয়ে পড়েছেন। ছুটির দিনে বিভিন্ন স্কুল কলেজ অফিস আদালত বন্ধ থাকায় বই কিনতে অনেকেই পরিবার নিয়ে এসেছেন। কথা হয় মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র মন্ডলের সাথে। তিনি বলেন, ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিন গুলোতে অফিস শেষে আর বই কিনতে আসা হয় না। তাই পছন্দের বই কিনতে এলাম। তিনি বলেন, এবারের মেলায় বেশ কিছু নতুন লেখকের বই এসেছে। দশটি বই তিনি সংগ্রহ করেছেন। শনিবার ও তিনি মেলায় আসবেন। তিনি বলেন, মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শক উপস্থিত হয় বেশী।
শুক্রবার বই বিক্রি করে স্টল মালিকরা অনেকটা সন্তোষ প্রকাশ কারেন। ‘আলফা বুক হাউজ’র স্বত্বাধিকারী মনোজ কুমার দে বলেন, শুক্রবার তার বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকার। যা গত এক সপ্তাহের তুলনায় অনেক বশী। তিনি বলেন, দিন যতা যাচ্ছে ততই বিক্রি পরিমাণ বাড়ছে। তবে আরও প্রচারের প্রয়োজন আছে।
বিকালে বইমেলার মঞ্চে সরকারি ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া ছিল সাহিত্য সংগঠন ‘ ধ্রুবতারা ’ এর কবি ও বাচিক শিল্পীদের পরিবেশনা, প্রবন্ধ পাঠ এবং আলোচনা অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ‘ ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক একাডেমী’র শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন তাসনিম তাবাসসুম ও রাসেল শেখ। সব নিয়ে কথা হয় বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, সকলের অভিযোগ প্রচার কম হচ্ছে। দ্রুত প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।