জন্মভূমি রিপোর্ট : দিন যত যাচ্ছে ততই যেন জমে উঠছে খুলনা বিভাগীয় গণগ্রহন্থাগারে মাস ব্যাপি একুশে বই মেলা। লেখক সাহিত্যিক কবি আর বইপ্রেমিদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠছে মেলার প্রতিটি চত্বর। নতুন পুরাতনের মিলনে ভাষার এ মাসে উদ্বেলিত যেন প্রতিটি পাঠক হৃদয়। কেউ বই হাতে নিয়ে দেখছেন কেউ বা কিনে ঘুরছেন। বিকেল থেকে রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত এ ষ্টল থেকে ও ষ্টলে বই খুঁজে যেন তৃপ্তি মিটছে না।
গত কাল বুধবার ছিল মেলার সপ্তম দিন। গণগ্রহন্থাগারের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করেই ঠিক ডান ও বাম পাশেই সারি-সারি রয়েছে বইয়ের স্টল। বিক্রেতা মৌসুমী দাস মেলার প্রথম থেকেই এখানে নতুন নতুন বই উপহার দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, দিন যত যাচ্ছে ততই বিক্রয়ের হার বাড়ছে। দর্শনার্থী আর বই প্রেমিদের আগমনও বাড়ছে। আলফা বুক হাউজের বিক্রেতা মনোজ কুমার দাস বলেন, গেল বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা আসাকরি ভালোই হবে। প্রথমে বই বিক্রি কম হলেও এখন বেশ বেড়েছে। তিনি আশা করছেন আগামী সপ্তাহ থেকে মেলা আরও জমে উঠবে। মানুষের সমাগমের সাথে সাথে বইও বিক্রি বাড়বে। তাছাড়া আয়োজকরা সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছেন।
মেলার প্রতিটি স্টলেই বই ক্রেতাদের দাঁড়িয়ে থেকে নতুন নতুন বই খুঁজতে দেখা গেছে। তাদের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছেন বিভিন্ন লেখক আর কবি। তাদের লেখা নতুন বই নিয়ে স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে তারা বই জমা দিচ্ছেন। আলফা বুক হাউজ, সততা লাইব্রেরী, খুলনা বুক ডিপো, মুসলিম লাইব্রেরী, বুক পয়েন্টসহ প্রায় ৯৫টি স্টলের সামনেই দর্শনার্থী এবং বই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
বইমেলা মঞ্চে বুধবার সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিল, ‘বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ’ এর কবি, লেখক ও বাচিক শিল্পীদের সাহিত্য আড্ডা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান। পরে ‘কন্ঠকুঞ্জ’ আবৃত্তি সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। মঞ্চে নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করে ‘স্বপ্ন সারথী’র শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, এম শরিফ উদ্দিন টিটো এবং জান্নাতুল ফেরদৌসী রশ্মি।