প্রতি মিনিটে একটি অ্যাম্বুলেন্স
মাইক্রোবাস যখন রাতারাতি অ্যাম্বুলেন্স
এম সাইফুল ইসলাম
দুপুর একটা। খুলনা মহানগরীর শিববাড়ির মোড়। তীব্র যানজট। রিকশা, ইজিবাইকগুলো চলছে তাদের আপন গতিতে। যেন নিয়মিত এক প্রতিযোগিতা। কে কার আগে যাবে। কিন্তুু বেদনা বিদুর সাইরেন এর এক আওয়াজে সবাই জায়গা করে দিচ্ছে সাদা-লাল রঙ্গের অ্যাম্বুলেন্সেগুলোকে। যেন এখানে এসে সবার আবেগ মিলে মিশে একাকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিববাড়ির মোড়ে প্রতি মিনিটে একটি অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করছে। যার জানালা তেকে ভেসে আসে কান্নার ধ¦নি।
দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকার পরে গত বৃহস্পতিবার খুলনাসহ সারাদেশের লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছেছে। খুলনা শহরজুড়ে মানুষের চলাচলে বেড়ে উঠেছে কোলাহল। রাস্তায় নেই চিরচেনা যানজট ও যানবাহনের কান কর্কশ করা হর্ন।
তবে, কোলাহলময় এ শহরে মুহুর্মুহু সাইরেন বাজিয়ে চলছে শুধু অ্যাম্বুলেন্স। লাল-নীল বাতি জ¦ালিয়ে বুক কাঁপানো সাইরেন বাজিয়ে দিন-রাত ছুটে চলছে অ্যাম্বুলেন্সগুলো। করোনায় আক্রান্তদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো। সারাদিন শহরের মানুষ শুধুই অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শুনছে। ফলে খুলনা শহর যেন অ্যাম্বুলেন্সের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শহর জুড়ে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি করোনায় আক্রান্ত রোগীরাও দ্রুত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছুটছেন।
তবে খুলনাবাসীর অভিযোগ করোনার আগে ফিটনেস বিহীন প্রাইভেটকারগুলো চলাচলে নিরাপত্তার স্বার্থে রাতারাতি প্রাইভেটকারে পরিণত হয়েছে। করোনাকাল শুরুর পূর্বে খুলনা মহানগরীতে এত বেশি অ্যাম্বুলেন্স ছিল না যা বর্তমানে রয়েছে। এ সকল অ্যাম্বুলেন্সে রোগি না নিয়ে যাত্রী বহন করছে। যা করোনা সংক্রমণে আরও বিপদ জনক বলে দাবি করেন খুলনাবাসী।
এ দিকে তিল ধারণের ঠাই নেই খুলনার করোনা সেবা দেয়া চারটি হাসপাতালে। রোগী পরিবহনে হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাই সারিবদ্ধ থাকছে অ্যাম্বুলেন্স।
এদিকে মধ্যে যারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাদের অক্সিজেন সেবাসহ নানা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একাধিক সংগঠন ২৪ ঘণ্টাই কাজ করে যাচ্ছে।