খুলনার তিন হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তে ও উপসর্গে ১২ জনের প্রাণহানী হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দুইজন করোনায় ও তিনজন উপসর্গে, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চার জন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় কারো মৃত্যু হয়নি।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় দুইজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মিলে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩৫ জন, ইয়ালো জোনে ২৬ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ২১ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছেন ডাঃ প্রকাশ দেবনাথ। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৬জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার রূপসার শেখ ওলিয়ার রহমান (৭৫), বাগেরহাট মোল্লাহাটের তরিকুল ইসলাম (৭২), মোড়েলগঞ্জের মোকসেদ হাওলাদার (৫০) এবং একই এলাকার আবু জাকের মিয়া (৭৬)। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন, তার মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ৩৫ জন মহিলা। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, খুলনা মহানগরীর নিরালা নাজিরঘাটের মোঃ নজরুল ইসলাম (৬১), বাগেরহাটের রায়পাড়া বারুইপাড়ার ফাতেমা বেগম (৭০) ও বাগেরহাট সদরের কুরসাইল এলাকার শংকর বিশ^াস (২৬)। বেসরকারি এ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১১৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।