শেখ আব্দুল হামিদ : খুলনায় কুয়াশার দাপট বাড়লেও কমেছে শীতের তীব্রতা। মাঘ মাসের তিনদিন অতিবাহিত হলেও শীত যেন ধীরে ধীরে কমতে বসেছে। “পৌশের শীত মহিষের গায়, মাঘের শীত বাঘের গায়’। প্রবাদটা যেন এখন আর আগের মত ঠিক মিলছে না। খুলনায় শীত কমেছে তবে কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে চারপাশ। ভোরের কুয়াশা কাটতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়। সোমবার সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১০-২০ মিটার দূরত্বে কিছু দেখার উপায় ছিল না। দুর্ঘটনা এড়াতে আলো জ্বেলে চলেছে যানবাহন।
খুলনা শহরের গল্লামারী এলাকায় পথচারী কাজল মল্লিক বলেন, ‘সকালে কুয়াশার কারণে সড়কে গাড়িগুলো যেন সিনেমাটিকভাবে (স্লো মোশনে) চলছিল। সব গাড়িরই হেডলাইট জ্বলছিল।’
টুটপাড়া কবরখানা এলাকার জামিল হোসেন বলেন, ‘কুয়াশার কারণে সকাল ৭টার দিকে সড়ক ফাঁকা ছিল। এরপর থেকে কিছু গাড়ি ধীরগতিতে চলতে দেখা যায়।’ অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে আমের বোল কালো হয়ে মাটিতে ঝরে পড়ছে। তাছাড়া আলু গাছের পাতায় ফাঙ্গাস জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, ‘মাঘের প্রথম দিনেই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও তেমন শীত অনুভূত হয়নি। কারণ কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে কোনও বাতাস ছিল না। এমন পরিস্থিতি দু’এক দিনের মধ্যেই পরিবর্তন হতে পারে। তখন শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে পশ্চিমা মেঘের প্রভাবে আজ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রভাবে এখানেও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময় বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে খুলনাতেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সময় তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।