জন্মভূমি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ মনোনিত খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি ২০২২ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে খুলনা জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় কয়েকগুন বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, ১০০০ আসনের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপারস হল নির্মাণ, বিভিন্ন উপজেলায় জেলা পরিষদ মার্কেট, নতুন রাস্তাঘাট, গল্লামারী স্মৃতিসৌধ আধুনিকায়ন, অসহায় দুঃস্থ মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণসহ সেলাই মেশিন বিতরণ, দুঃস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ভ্যান বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি প্রদানসহ মসজিদ মন্দির মাদ্রাসার উন্নয়নে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। পুনরায় খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে খুলনা জেলা পরিষদকে ‘মডেল জেলা পরিষদ’ করতে চাই।
শনিবার সন্ধ্যায় শেখ হারুনুর রশীদ খুলনা প্রেস ক্লাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করেন। ওই নির্বাচনে দেশের ভিতর রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এজন্য আমি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি। আমি ইতিমধ্যে খুলনা জেলা ও মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে খুলনার ৯টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেছি।
আমি আশা করি, ১৭ অক্টোবর খুলনায় সুষ্ঠু অবাধ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। আমি নির্বাচিত হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জেলা পরিষদের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করে যেতে চাই। নির্বাচনে ভোটাররা স্বতঃস্ফুর্তভাবে আমার প্রতীক মোটরসাইকেলে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলে আমি আশা করি।
শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, আমি ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ও বঙ্গবন্ধুর আহবানে সেই ১৯৬২ সালে দৌলতপুরস্থ বি,এল কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। দীর্ঘ ৬১ বছর এদেশের প্রতিটি আন্দোলন তথা ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তৃনমূলে ছুটে বেড়িয়েছি। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এছাড়া খুলনার প্রতিটি উন্নয়ন আন্দোলনের সাথে প্রথম সারিতে থেকে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি।
দীর্ঘ ৬১ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯১ সালের পর থেকে ৭ বার খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। দুই বার জাতীয় সংসদ সদস্য, বিরোধী দলীয় হুইপ, প্রায় ১১ বছর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালনকালে চলার পথে ভুল ত্রæটি হলে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা এমএম মুজিবুর রহমান, অ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিএমএ ছালাম, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, এসএম কামরুজ্জামান জামাল, অ্যাড. ফরিদ আহম্মেদ, মো. জামিল খান, যুবলীগ নেতা সরদার জাকির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন।
খুলনা জেলা পরিষদকে ‘মডেল জেলা পরিষদ’ করতে চাই : শেখ হারুনুর রশীদ
Leave a comment