# চাহিদার তুলনায় ৪০ ভাগ লোড শেডিং
শেখ আব্দুল হামিদ
খুলনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আওতায় বিতরণ এলাকায় ২৪ ঘন্টায় গড়ে ৪-৫ ঘন্টা লোড শেডিং চলছে। প্রতিদিন এভাবে বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়া লেখা ব্যাহত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর লেখা পড়ার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়ে। এ ধরনের চিত্র এখন খুলনার নয় উপজেলাতেই।
অতিরিক্ত লোড শেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিদ্যুৎ বিতরণ এলাকার জনজীবন। দিনের বেলা রোদ আর ভাপসা গরম, রাতে গরমের সাথে মশার উপদ্র। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। ধৈর্য হারিয়ে বহু গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে দিনে একবার এক ঘণ্টা করে লোড শেডিং দেওয়ার কথা বলা হলেও খুলনার সকল উপজেলাতেই একাধিকবার লোড শেডিং করা হচ্ছে। গতকাল বিভিন্ন এলাকায় তিন থেকে চারবার লোড শেডিং হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।
পাঁচ থেকে সাত ঘন্টা লোড শেডিংয়ের অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে খুলনা পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের বিতরণ এলাকায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের বরাদ্দ কম পাচ্ছি। যার কারণে বেশ কিছু এলাকায় পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিং দিতে হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার পর সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৬৬ মেগাওয়াট। সরবরাহ করা গেছে ৫১ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ১৫ মেগাওয়াট। সন্ধ্যার পর চাহিদার সঙ্গে বিদ্যুতের বরাদ্দ কম থাকায় তখন ঘাটতি ছিল। এতে দিনের তুলনায় রাতে লোড শেডিং কিছুটা বাড়ে। ’
বিষয়টি নিয়ে খুলনা পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির এজিএম (ও এন্ড এম) সাজ্জাদুল আযম বলেন, বিদ্যূতের চাহিদা কম থাকায় প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা লোড শেডিং থাকছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিবারে লোড শেডিং এক ঘন্টার বেশী সময় থাকে না।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কিসমত ফুলতলা গ্রামের গৃহিণী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘গতকাল ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্তই তিন-চার ঘণ্টা লোড শেডিং হয়েছে। এক ঘন্টা পর বিদ্যুৎ এলেও তিন ঘন্টা থাকার পর আবারও এক ঘণ্টার জন্য উধাও। এভাবেই চলছে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। ’ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুতের বরাদ্দ কম পাওয়ায় ঘন ঘন লোড শেডিং দেওয়া লাগছে।
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় লোড শেডিং শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ পাচ্ছি না। সর্বোচ্চ চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা লোড শেডিং হয়েই যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর চাহিদা বেড়ে যায় কিন্তু সরবরাহ করা যায় না।