জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার আশায় আশপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০টি জেলার রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। দীর্ঘ দিনের দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি হঠাৎ করে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। রোগী কিংবা স্বজন কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এই চুরি-ছিনতাইয়ের হাত থেকে। পুরুষদের চেয়ে মহিলা চোরের সংখ্যা বেশি। গত বৃহস্পতিবার খুমেক হাসপাতাল থেকে চুরি করার সময় মেডিসিন -৫ ইউনিট থেকে চোর মেহেরুন নামে এক মহিলা আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
খুমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার লেবার ওয়ার্ড থেকে রোগীদের কাছ থেকে মোবাইল চুরি করে মেহেরুন নামে এক মহিলা চোর। সেখান থেকে ওই চোর মহিলাটি মেডিসিন-৫ ইউনিটে যায়। সেখানে খুলনা মেডিকেল কলেজ এর এক শিক্ষার্থীরা ব্যাগ চুরি করে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় আটক হয়। পরে সে স্বীকার করে যে লেবার ওয়ার্ড থেকে মোবাইল চুরি করে ওই ওয়ার্ডে আসেন। চুরি হওয়ার মোবাইল ও ব্যাগ প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। আর ওই মহিলাকে পুলিশের কাছে তুলে দেন। এর আগে দিন বুধবারও দুইজন মহিলা চোরকে আটক করা হয়েছিলো। এ হাসপাতালে পুরুষের চেয়ে মহিলা চোরের সংখ্যা বেশি। কারণ মহিলা হওয়াতে তারা যে কোন সময় যে কোন ওয়ার্ডে নির্বিঘ্নে যেতে পারেন। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে থাকে মহিলা চোর চক্রের সদস্যরা।