জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনাকে স্বাস্থ্যসম্মত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কেসিসির পাশাপাশি নগরবাসীদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্বের পাঁচটি নগরীকে বেছে নিয়েছে। আমরা খুলনাবাসী অনেক ভাগ্যবান, তালিকাভুক্ত ৫টি সিটির মধ্যে খুলনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খুলনাকে শুধু স্বাস্থ্যসম্মত নগরী হিসেবে নয়, নাগরিক সেবার প্রত্যেকটি খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছর স্বপ্নের পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হলে খুলনাঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে এবং খুলনা হবে সমৃদ্ধ জনপদ।
সিটি মেয়র সোমবার বিকেলে বয়রাস্থ খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের (পুনরায়) শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালটি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। করোনা সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় আজ থেকে হাসপাতালে পুনরায় ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হলো। চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পুনারায় শুরু হওয়ায় স্থানীয় রোগীগণ সহজে সেবা নিতে পারবেন বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন।
খুলনা ডায়াবেটিক সমিতির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থ হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রায়না। অন্যান্যের মধ্যে কেসিসির কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এম এ সালাম, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, ডায়াবেটিক সমিতির সদস্য এ্যাড: কাজী বাদশা মিয়া, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, হাসপাতালের চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মো: আব্দুস সবুরসহ ডায়াবেটিক সমিতির সদস্য, চিকিৎসক ও নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন ডায়াবেটিক সমিতির সদস্য সচিব এ্যাড: মো: রজব আলী সরদার এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমিতির সদস্য মফিজুল ইসলাম টুটুল।